দীর্ঘদিনের বান্ধবীর সঙ্গে সাতপাকে বাধা পড়লেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, পাত্রী কে চিনে নিন
দীর্ঘদিনের বান্ধবীর সঙ্গে সাতপাকে বাধা পড়লেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, পাত্রী কে চিনে নিন
ভিকি–ক্যাটরিনার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার বিয়ে সেরে নিলেন লালুপুত্র ও রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টি (আরজেডি) নেতা তেজস্বী যাদব। দিল্লিতে পরিবারের একটি খামারবাড়িতে খুব ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিয়ে করেন তেজস্বী যাদব। এই বিয়ের খবর জানিয়েছেন তাঁর ভাই তেজ প্রতাপ। প্রসঙ্গত, আরজেডি সুপ্রিমো লালু যাদবের ছোট ছেলে ও বিহারের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী বিয়ে করেন তাঁর দীর্ঘদিনের বান্ধবী রেচেল গোদিনহোকে। ব্যক্তিগত পরিসরে হওয়া এই বিয়ের বিষয়ে বুধবার পর্যন্ত কেউ জানতেন না।
তেজ প্রতাপ তাঁর টুইটে লেখেন, 'জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করার জন্য অর্জুনকে আশীর্বাদ করি। ঈশ্বর এই নব দম্পতিকে পৃথিবীর সব সুখ দিয়ে আজীবন সুখে রাখুক, এই কামনা করি।’ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল যে বৃহস্পতিবার তেজস্বী বাগদান পর্ব সারবেন কিন্তু যখনই তাঁর বিয়ের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল তখনই যাদব পরিবারের দিল্লির বাড়ির বাইরে ভারী নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়। প্রশ্ন উঠতে থাকে তেজ প্রতাপের মতো ভাই তেজস্বী যাদব কেন এরকম অনাড়ম্বরভাবে বিয়ে সারলেন। জানা গিয়েছে যে, দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বড় ধরনের জমায়েত এড়াতেই সাদামাটাভাবে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তেজস্বী।
রেচেল আসলে হরিয়ানার বাসিন্দা, কিন্তু তিনি থাকেন দিল্লিতে। সূত্রের খবর, দিল্লির সৈনিক ফার্ম এলাকায় বৃহস্পতিবারই হয়ে গিয়েছে বিবাহ। দিল্লিতে আপাতত উপস্থিত রয়েছেন যাদব পরিবারের সকলেই। তবে তেজ প্রতাপ যাদব জানিয়েছেন, বিশেষ কারণে তিনি বিবাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। এ দিনে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। তিনি সস্ত্রীক উপস্থিত হয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলেন তেজস্বী ও রেচেলকে। রাজ্যসভার সাংসদ তথা তেজস্বীর বড় দিদি মিশা ভারতীয়ও উপস্থিত ছিলেন বিয়ের আসরে। জাতীয় স্তরের বেশ কয়েক জন শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এদিন আশীর্বাদ করেন তেজস্বীকে।
বুধবার
পর্যন্ত
সকলে
জানতেন
যে
বৃহস্পতিবার
তেজস্বী
বাগদান
সারবেন
এবং
আগামী
বছর
বিয়ে
হবে
তাঁদের।
কিন্তু
বৃহস্পতিবারই
যে
তাঁদের
বিয়ে
হবে
সে
বিষয়ে
কারোরই
কোনও
ধারণা
ছিল
না।
হিন্দু
রীতিমেনেই
বিয়ে
হয়
তেজস্বী
যাদব
ও
রাচেলের।
তবে
নাম
পরিবর্তন
করে
রাচেল
এখনও
রাজেশ্বরী
যাদব
হয়েছেন।
উল্লেখ্য,
গত
বিধানসভা
নির্বাচনে
লালু
প্রসাদ
যদব
যখন
জেলবন্দি
তখন
তিনি
দলের
দায়িত্ব
তুলে
নেন।
তাঁরই
নেতৃত্বে
বিহারে
নীতিশ
কুমারকে
জোর
টক্কর
দেয়
আরজেডি।
বিহার
বিধানসভা
নির্বাচনে
কংগ্রেস
ও
বামেদের
সঙ্গে
জোট
বেঁধে
লড়াই
করেন
তিনি।
হেরে
গেলেও
তেজস্বীর
রাজনীতিক
কৌশল
যথেষ্ট
প্রশংসা
পেয়েছে
ভারত
জুড়ে।