পিছনের সারিতে সুশান্ত কাণ্ড! বিহার নির্বাচনী প্রচারে হঠাৎ লাইমলাইটে এই ইস্যুটি
সামনেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। জেতার সুযোগকে হাত ছাড়া করতে চায় না কেউই। আর তাই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আদা জল খেয়ে নেমে পড়েছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে সব দলের অন্দরে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু পিছনের সারিতে
ভোটের আগে একগাদা প্রতিশ্রুতিগুচ্ছ ভোটারদের কান পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া যে এক মোক্ষম চাল তা আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না। ঢাক পিটিয়ে সেই কাজে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। এই আবহেই সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু কেসটি একটি বড় অ্যাজেন্ডা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে বর্তমানে এই ইস্যুটি ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে। সামনের সারিতে এসেছে অন্যান্য বিষয়।
প্রচার শুরু করে দিয়েছে আরজেডি-জেডিইউ
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন বিহারের মুখমন্ত্রী তথা বর্তমান শাসক দল জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। বসে নেই প্রধান বিরোধী পক্ষ রাষ্ট্রীয় জনতা দলও। ভোটের ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত তেজস্বী যাদব। নেমে পড়েছেন প্রচারে। দুই দলেরই এখন পাখির চোখ বেকার যুব সম্প্রদায়। তাঁদের ভোটেই বাজিমাত করতে চাইছেন দুই দলের নেতা। জেডিইউ এবং আরজেডি দুই দলই ১৫ বছর ধরে বিহারের ক্ষমতায় থেকেছে।
যুব শক্তি বিহারের প্রগতি
ফের ক্ষমতায় আসলে 'সাত কর্মসূচি-পার্ট ২' মেনে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নীতিশ কুমার। যুব শক্তি বিহার কী প্রগতি কর্মসূচির আওতায় যুবকদের চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও কৌশল বিকাশ যোজনার আওতায় আরও বেশি যুবক সুযোগ সুবিধা পাবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।
নীতীশ কুমারের দাবি
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দাবি, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলায় জেলায় বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে। সেইসব কেন্দ্রে দক্ষতা উন্নয়নে আলাদা আলাদা বিভাগও খোলা হবে। যুব সম্প্রদায়কে সমস্ত রকম সহায়তা প্রদানে আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
পিছিয়ে নেই আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও
এদিকে নির্বাচনের ময়দান সাজানোর থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ক্ষমতায় আসলে দুই মাসের মধ্যে তাঁর সরকার ১০ লক্ষ মানুষকে সরকারি চাকরি দেবে। বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রে মোট শূন্যপদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'যদি আরজেডি ক্ষমতায় আসে তবে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকই ১০ লক্ষ মানুষকে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একবার যদি মানুষ আমার দলকে ক্ষমতায় আসার সুযোগ দেয় তবে সরকারি কোনও পদ শূন্য থাকবে না।'
ইস্যু নিয়ে টানাটানি
এদিকে দুই দলের এই সব প্রতিশ্রুতি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি আরজেডি এবং জেডিইউ বিরোধী দলগুলিও। ক্ষমতায় থাকাকালীন কেন দুই দল প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এদিকে করোনার কারণে ভিন রাজ্য থেকে বহু শ্রমিক ফিরে এসেছেন। কিন্তু এখন ভোটের আগে আগে বিরোধী দলগুলি বেকারত্বের বিষয়টি তুলে ধরছে। বিরোধীদের বক্তব্যকে ভুল প্রমাণ করতে এখন শাসক দল চাকরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।