মন্দিরের নীচে নদীর স্রোত, জোরদার ভিত তৈরির জন্য আইআইটির সহায়তা চাইল ট্রাস্টি
অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নীচে সরযূ নদীর স্রোত পাওয়া গিয়েছে। রাম মন্দিরের ট্রাস্টি তাই মন্দিরের পরিকাঠামো জোরদার করার জন্য আরও ভালো নকশা তৈরি করতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (আইআইটি) সহায়তা চাইল। প্রসঙ্গত, মাটির নীচে বালি ও জলের পরিমাণ বেশি বলে মাটির জোর এমনিতেই কম।

মন্দিরের নির্মাণ কমিটি, যার সভাপতিত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন সচিব নৃপেন্দ্র মিশ্র, তিনি মঙ্গলবার এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনার সময় এটা উপলব্ধ করা হয় যে এই মন্দিরের ভিত স্থাপনের বিদ্যমান নকশাটি কার্যকর নয়, কারণ সরয়ু নদীর স্রোত মন্দিরের নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে যে আইআইটি কে অনুরোধ করা হয়েছে শক্তিশালী পরিকাঠামোর জন্য ভালো নকশা তৈরি করার। যদিও আইআইটির পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
রাম মন্দির ২০২৩ সালে সম্পূর্ণ করে ফেলার কথা রয়েছে। মন্দিরের ট্রাস্টের নির্মাণ কমিটি দুটি বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে – ভ্যাব্রো স্টোন কলামগুলি ব্যবহার করে র্যাফগুলি সমর্থন করতে পারে এবং মাটির ক্ষমতা ও গুণগত মান বাড়ানোর জন্য তাতে ইঞ্জিনিয়ারিং মিক্স করা যেতে পারে।
অন্যদিকে, অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি করতে মোট খরচ হবে ১১০০ কোটি টাকা। মন্দির সহ গোটা কমপ্লেক্স শেষ করতে সময় লাগবে সাড়ে ৩ বছর। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের অন্যতম আহ্বায়ক স্বামী গোবিন্দ দেব গিরজি মহারাজ একথা জানিয়েছেন। মন্দিরের প্রজেক্ট দেখে তিনি বলেন, পরিকাঠামো বিশেষজ্ঞ এবং ইঞ্জিনিয়াররা মন্দিরের নকশা তৈরি করছেন। মূল রাম মন্দির তৈরি করতে খরচ হবে আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি। গোটা প্রজেক্ট রূপায়ণে খরচ হবে কম বেশি ১১০০ কোটি টাকা। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আইআইটি বম্বে, দিল্লি, মাদ্রাজ, চেন্নাই, গুয়াহাটি, রুরকির সেন্ট্রাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, টাটা গ্রুপের বিশেষজ্ঞরা মন্দিরের পরিকাঠামোর দায়িত্বে আছে।
শুভেন্দু আমূল বদলে ফেললেন ১০ দিনেই! বাংলা-বাঙালি ছেড়ে মুখের ভাষায় হিন্দি টান