যেখানে, যখন ইচ্ছে বিক্ষোভ দেখানো যায় না, সুপ্রিম বার্তায় মোড় ঘুরবে কৃষক আন্দোলনের?
বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং আন্দলন করার পাশাপাশি সকলের একটি দায়িত্ব রয়েছে। যখন, যেখানে ইচ্ছে হল, সেখানে আন্দোলন করা যায় না। এদিন এমনই বার্তা দেওয়া হল সুপ্রিমকোর্টের তরফে। এই পর্যবেক্ষণ শাহিনবাগের সিএএ বিরোধী আন্দোলন সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে হলেও, মনে করা হচ্ছে এর প্রভাব পড়তে পারে চলতি কৃষক আন্দোলনের উপরও।
কী বলল সুপ্রিমকোর্ট?
এর আগে সুপ্রিমকোর্ট শাহিনবাগের অবস্থান বিক্ষোভকে বেআইনি আখ্যা দিয়েছিল। এরপরই ১২ জন সমাজ কর্মী সুপ্রিমকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিলেন। সেই মামলার শুনানির সময়ই এদিন এই পর্যবেক্ষণ পেশ করে সুপ্রিমকোর্ট। এদিন সুপ্রিমকোর্টের তরফে বলা হয়, 'অনেক সময়ই স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ হতে পারে। তবে দীর্ঘকালীন প্রতিবাদের ক্ষেত্রে এমন কিছু করা যায় না যা জনসাধারণের অধিকারকে খর্ব করে।'
সিএএ ও এনআরসির বিরোধিতায় দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল আন্দোলন
প্রসঙ্গত, অতিমারীর আগে সিএএ ও এনআরসির বিরোধিতায় দেশজুড়ে শুরু হয় আন্দোলন৷ প্রতিবাদে সোচ্চার হয় আট থেকে আশি৷ ক্রমে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় দিল্লির শাহিনবাগ৷ কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত রাস্তায় বসে ধরনায় যোগ দেন মুসলিম মহিলারা৷ শিশু থেকে বৃদ্ধা, সকলেই সামিল হন আন্দোলনে৷ তিনমাসের প্রতিবাদ নজর কাড়ে গোটা বিশ্বের৷ শেষমেশ কোরোনা আবহে আন্দোলনকারীদের শাহিনবাগ ছাড়তে বাধ্য করে প্রশাসন৷
রাজধানীর সীমান্তে চলছে কৃষক আন্দোলন
এদিকে দিল্লিতে এখন শাহিনবাগ আন্দোলন না চললেও, রাজধানীর সীমান্তে চলছে কৃষক আন্দোলন। এদিকে কৃষক আন্দোলনের অশান্তি রুখতে দিল্লি সীমান্তে মোতায়েন করা অতিরিক্ত বাহিনী তুলে নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। সোমবারই বাহিনীগুলিকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় দিল্লি পুলিশ। দিল্লির বিভিন্ন সীমানায় গত দু'মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কৃষকরা। দিল্লি পুলিশের নির্দেশের পর অতিরিক্ত বাহিনীকে তাঁদের সংশ্লিষ্ট ইউনিট নিজেদের জেলায় ফিরে গিয়েছে।
দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের সংঘর্ষ
উল্লেখ্য, ২৬ জানুয়ারি আন্দোলনরত কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল ঘিরে রাজধানীতে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের সংঘর্ষের ছবি সামনে আসে। কৃষকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে নির্দিষ্ট রুট ছেড়ে রাজধানীতে ঢুকে পড়ে। সেইদিন লালকেল্লায় কৃষক বিক্ষোভ চলে।
কৃষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
অভিযোগ, কৃষকরা ভাঙচুর করা হয় তথ্যকেন্দ্র সহ বেশ কয়েকটি পুলিশ পিকেট। লালকেল্লার একটি গম্বুজে পতাকাও তোলে বিক্ষোভকারীরা। এরপরই রাজধানীতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। এছাড়াও ৭ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভকারী কৃষকদের চাক্কা জ্যাম কর্মসূচিতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দিল্লিতে ৫০ হাজার অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।
১৮০ ডিগ্রি ঘুরলেন জাস্টিন ট্রুডো, কৃষক আন্দোল ইস্যুতে মোদীর প্রশংসায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী