সাভারকরের সমালোচকদের তোপ সঞ্জয়ের, মহারাষ্ট্রে মহা আঘাড়ি জোটে ভাঙনের ইঙ্গিত!
দামোদর সাভারকরকে নিয়ে ফের মুখ খুললেন শিবসেনা সাংসদ তথা দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাভারকরের সমালোচকদের তোপ দেগে সঞ্জয় দাবি করেন, 'যারা বীর সাভারকরের সমালোচনা করেন তাদের উচিত আন্দামানের সেলুলার জেলে কয়েক দিন কাটানো।'
|
সঞ্জয়ের বক্তব্য
শনিবার এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সঞ্জয় কংগ্রেসের নাম না করেই তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'যারা বীর সাভারকরকে বিরোধিতা করেন তারা অন্য দল বা মতাদর্শের হতে পারেন। তবে তাদের উদ্দেশ্যে আমার পরামর্শ, বীর সাভারকরের সমালোচনা করার আগে তাদের উচিত আন্দামানের সেলুলার জেলে কয়েক দিন কাটানো। তবেই তাঁরা বীর সাভারকরের দেশের জন্যে করা বলিদান বুঝতে পারবেন।'
সভারকার ও নাথুরাম গডসেকে নিয়ে বিতর্কিত বই প্রকাশ কংগ্রেসের
এর আগে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের তরফে এক বুকলেট প্রকাশ করা হয় দামোদর সাভারকরকে নিয়ে। তাতে দাবি করা হয়, সভারকার ও নাথুরাম গডসের মধ্যে সমকাম যৌনতার সম্পর্ক ছিল। যার জেরে বেজায় চটেন সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। সেই প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে এক হাত নিলেন এনসিপির মুখপাত্র তথা মহা আঘাড়ি জোটের মন্ত্রী নবাব মালিকও।
সাভারকরকে আক্রমণ কংগ্রেসের
সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সেবাদলের একটি বুকলেট ঘিরে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল জাতীয় রাজনীতিতে। সেখানে বিনায়ক দামোদর সভারকারকে 'সমকামী' আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। বুকলেটে বলা হয়েছে সাভারকরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের। মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের একটি অনুষ্ঠনে সেবাদলের সদস্যদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে একটি বুকলেট। যার নাম 'সাভরকর কিতনে বীর'। সেখানেই এই দাবি করা হয়। কংগ্রেসের সেবাদলের ওই বইটিতে আরও লেখা রয়েছে, গেরুয়া শিবির ন্যাৎসি ও ফ্যাসিবাদ থেকে অনুপ্রাণিত হয়। ১৯৩০ সালে ও ১৯৪০ সালে আরএসএস হিটলার ও মুসোলিনির থেকে অনুপ্রাণিত হয়।
সাভারকরকে নিয়ে রাহুল গান্ধীর কটাক্ষ
তার আগে রাহুল গান্ধীও দিল্লিতে সিএএ-এনআরসি বিরোধী এক জনসভায় সভারকরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বিজেপিকে তোপ দেগে বলেছিলেন, 'আমার নাম রাহুল গান্ধী, রাহুল সাভারকর নয়। আমি ক্ষমা চাইব না।' রাহুলের এই মন্তব্যের পরও বেশ জলঘোলা হয়েছিল।
ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে সঞ্জয়ের মন্তব্য
এদিকে বৃহস্পতিবার সঞ্জয়ের ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে করা এক মন্তব্যের জেরে কংগ্রেস ও শিবসেনার মধ্যে আরও দুরত্ব বেড়েছে। সঞ্জয় দাবি করেছিলেন, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন করিম লালার সঙ্গে দেখা করতেন। আর এই ঘটনার পরেই কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনার মহাআঘাড়ি জোটে ফাটল দেখা দিয়েছে। কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওয়রা ও অভিষএক মনু সিংভি অবিলম্বে এই মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন। তবে মন্তব্য প্রত্যাহার না করে সঞ্জয় তাঁর মন্তব্যের যৌক্তিকতা তুলে ধরে দাবি করেন, তিনি সবয়ময় গান্ধী পরিবারকে সম্মান দেখিয়ে এসেছেন।