গলার কাঁটা সিন্ধিয়া, মধ্যপ্রদেশ উপনির্বাচনের আগে দলীয় কোন্দলে জর্জরিত বিজেপি-কংগ্রেস শিবির!
দেশজুড়ে করোনা লকডাউন জারি করার আগেই আমূল পরিবর্তন হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে। কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের সৈনিক ও সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া হাত শিবির ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন পদ্ম শিবিরে। তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁর অনুগামী হিসাবে পরিচিত ২২ জন বিধায়ক। এর জেরে মধ্যপ্রদেশে কমলনাথকে সরিয়ে মসনদে বসেছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান।
মধ্যপ্রদেশের ২৪টি আসনের উপনির্বাচন ঘনিয়ে আসছে
তবে মধ্যপ্রদেশের ২৪টি আসনের উপনির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই শিবরাজের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলীয় কোন্দল। মূলত সমস্যাটি হল, বিজেপিকে সমর্থন কারে কংগ্রেস ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়া বিধায়কদের মন্ত্রিত্ব দেওয়া। এই অবস্থায় মন্ত্রিসভা সমপ্রসারণ করতে গেলে তাঁকে সেই সব বিজেপি নেতাদের মন ক্ষুন্ন করতে হবে যারা এদের বিরুদ্ধে হেরেছিলেন।
হেরে যাওয়া বিজেপি নেতাদের দলের মধ্যে ভবিষ্যৎ কী?
তাছাড়াও আরও একটি প্রশ্ন উঠে আসছে, এই হেরে যাওয়া বিজেপি নেতাদের তবে দলের মধ্যে ভবিষ্যৎ কী? পরবর্তী নির্বাচনে কি তাদের আদৌ টিকিট দেওয়া হবে বিজেপির তরফে। এই সব প্রশ্নে জেরবার শিবরাজ এখন উভয় সংকটে পড়েছেন।
সিন্ধিয়া - বিজেপি দূরত্ব
এরই মধ্যে বিজেপিতে যোগ দেওযার ২ মাস যেতে না যেতেই পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে মধ্যপ্রদেশে। জানা গিয়েছিল, মধ্যপ্রদেশ থেকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে বিজেপির টিকিকে রাজ্যসভায় দাঁড় করানো হবে। সেই মর্মে জ্যোতি শিবির আগ্রহী ছিল গেরুয়া শিবিরের জন্য। এই টিকিটের পরই জ্যোতিরাদিত্যর মন্ত্রিত্বও মোদী ক্যাবিনেটে পাক্কা ধরে নিয়েছিলেন অনেকেই। তবে করোনা আবহে সেসব হয়নি।
সিন্ধিয়াকে নিয়ে জল্পনা
বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তিন মাসও হয়নি। এরমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়, তিনি কি বিজেপি ছাড়ছেন? হঠাৎ এই জল্পনার কারণ, তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে বিজেপি সদস্য হওয়ার কোনও চিহ্ন খুঁজে পাওযা যায়নি। তবে এসবের মাঝেও অন্তর্দ্বন্দ্বের সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে সত্যিটা প্রকাশ করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নিজে।
সিন্ধিয়া পরবর্তী কংগ্রেসের পদক্ষেপ
তবে সেসব বাদ দিলেও তৃণমূল স্তরে সমস্যা থাকছে বিস্তর। কংগ্রেসের তরফে রাজ্যে সিন্ধিয়া ঘাঁটি সহ অন্য জায়গাগুলিতে নতুন জেলা সভাপতি নিয়োগ করা হয়েছে। গুনা , গোয়ালিয়র , শেওপুর , বিদিশা , সিহোর , রাতলাম , শিবপুরি , হোসাঙ্গাবাদ , দেওয়াস-এ দলে নতুন ১১ জন জেলা সভাপতি নিয়োগ করা হয়েছে৷
কংগ্রেসের অন্দরে টিকিট পাওয়া নিয়ে ঠাণ্ডা লড়াই
তবে এই মুহূর্তে কংগ্রেসের অন্দরেও টিকিট পাওয়া নিয়ে চলছে জোর ঠাণ্ডা লড়াই। বিজেপিতে থাকা সিন্ধিয়া বিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কংগ্রেস। তবে এর মাঝে কংগ্রেসের হয়ে টিকিটট পেতে মুখিয়ে থাকা বেশ কয়েকজন দলের মধ্যে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করেছেন।
চৌধুরী রাকেশ সিংয়ের উদাহরণ
সেরকমই একজন হলেন চৌধুরী রাকেশ সিং। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস ছেড়ে ২০১৩ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলন। পরে ২০১৮ সালে সিন্ধিয়ার হাত ধরেই ফিরে আসেন কংগ্রেসে। তবে এবার আর সিন্ধিয়ার সঙ্গে বিজেপিতে যাননি তিনি। রয়ে গিয়েচেন কংগ্রেসেই। তবে টিকিট পাওয়ার আশায় হাত শিবিরে থেকে গেলেও তাঁর সেই আশায় জল ঢালতে উঠে পড়ে লেগেছেন স্বয়ং দিগ্বিজয় সিং।
সিন্ধিয়াতে নাখুশ গুনার বিজেপি সাংসদ
এদিকে বিজেপির মধ্যে যে শুধু টিকিট পাওয়া নিয়ে অসন্তোষ এমনটা নয়। সিন্ধিয়াতে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় রেগে রয়েছেন তাঁকে হারিয়ে গুনা আসনে জয়ী বিজেপি সাংসদ কৃষ্ণপাল যাদব সিং। জানা গিয়েছে সম্প্রতি তাঁর ভাই কংগ্রেসের তাবড় নেতাদের সঙ্গে দেখাও করেছেন। যা পরিস্থিতি তাতে উপনির্বাচনের আগে দুই শিবিরই দলীয় কোন্দলে জর্জরিত।
বালাকোট অভিযানের স্মৃতি উস্কে দিয়ে যুদ্ধবিমানের গর্জন পাক আকাশসীমায়! আতঙ্কে ঘুম ভাঙল করাচির