বাড়বাড়ন্ত বহিরাগতদের, কর্নাটক বিজেপিতে চিড়! সরকার পতনের দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে ইয়েদুরাপ্পার?
গত বছর অনুষ্ঠিত হওয়া কর্নাটক বিধানসভার উপনির্বাচনে ১৫টি আসনের মধ্যে ১২টি জিতেছিল বিজেপি৷ কংগ্রেস পায় ২টি আসন৷ একটি আসনে জিতেছিলেলেন নির্দল প্রার্থী৷ আর এরই সঙ্গে ২২৪ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায় ইয়েদুরাপ্পা সরকার। উপনির্বাচনে লড়া কংগ্রেস ত্যাগী বিধায়কদের সন্তুষ্ট করতে দেওয়া হয় মন্ত্রিত্ব। আর এরপরই ধীরে ধীরে দলেন অন্দরে জমতে থাকে ক্ষোভ।
জানা গিয়েছে কগ্রেস থেকে আসা এই বিধায়করা কিংমেকারের কাজ করে মন্ত্রিত্ব পাওয়ায় নাখুশ বিজেপি নেতা কর্মীদেরকে বোঝাতে ও সন্তুষ্ট রাখতে ব্যর্থ হচ্ছেন ইয়েদুরাপ্পা। বর্তমানে ইয়েদুরাপ্পার ক্যাবিনেটে থাকা ২৮ মন্ত্রীর মধ্যে ১৮ জনই বিজেপিতে যোগ দেওয়া নতুন সদস্য। আর এতেই বেজায় চটেছেন বিজেপির পুরোনো বিধায়করা। কথা ছইল, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাইকেই কুরসির স্বাদ নিতে দেওযা হবে। তবে এখন মন্ত্রক ফের বন্টণ করতে পারছেন না ইয়েদুরাপ্পা। এছাড়া রাজ্যে করোনা আবহে সরকারের উপর বারবার বিতর্কে আঁচ লাগছে। যা নিয়ে জেরবার ইয়েদুরাপ্পা।
কংগ্রেস ও জেডিএস-এর ভাঙনের পর সরকার গঠন করে ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বাধীন বিজেপি৷ উপনির্বাচনে আরও মুখ থুবড়ে পড়ে কংগ্রেস৷ ১৫টি আসনের মধ্যে তাদের ঝুলিতে যায় মাত্র ২টি আসন৷ জেডিএস-এর ঝুলিতে একটি আসনও জোটেনি সেই উপনির্বাচনে৷ ১৫ আসনের এই উপনির্বাচনে জয়ের পর ইয়েদুরাপ্পা সরকার আরও মজবুত হয়৷ তবে দলীয় কোন্দলের জেরে এবার ফের চিড় ধরছে সরকারে।
২২৪ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার ১১৩টি আসন৷ উপনির্বাচনের আগে বিজেপি-র ঝুলিতে ছিল ১০৫টি আসন৷ উপনির্বাচনে ১২টি আসন যোগ করলে বিজেপি-র দখলে বর্তমানে মোট ১১৭টি আসন। পাশাপাশি ১ নির্দল প্রার্থীর সমর্থনও রয়েছে বিজেপি-র পক্ষে ৷ সব মিলিয়ে কর্নাটক বিধানসভায় মোট ১১৮টি আসন বিজেপি-র পকেটে। কংগ্রেসের ঝুলিতে আছে ৬৬টি ও জেডিএস-এর ঝুলিতে ৩৪টি আসন।