নির্বাচনী ট্রাস্টের মাধ্যমে সাহায্য! বেশির ভাগেরই পছন্দ মোদীর দলকে, জেনে নিন বিস্তারিত
নির্বাচনী ট্রাস্টে সব থেকে বড় সুবিধা পেয়েছে বিজেপি। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে প্রুডেন্ট ইলেকটোরাল ট্রাস্টের ১৬৯ কোটির মধ্যে ১৪৪ কোটি টাকা পেয়েছে দেশের শাসক দল।
নির্বাচনী ট্রাস্টে সব থেকে বড় সুবিধা পেয়েছে বিজেপি। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে প্রুডেন্ট ইলেকটোরাল ট্রাস্টের ১৬৯ কোটির মধ্যে ১৪৪ কোটি টাকা পেয়েছে দেশের শাসক দল। ট্রাস্ট কন্ট্রিবিউশন রিপোর্টে খবর এমনটাই। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে এমনটাই উঠে এসেছে।
প্রুডেন্ট ইলেকটোরাল ট্রাস্টের পূর্বের নাম ছিল সত্য ইলেকটোরাল ট্রাস্ট। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরের জন্য ডিএলএফ ওই প্রুডেন্ট ইলেকটোরাল ট্রাস্টে সব থেকে বেশি ৫২ কোটি টাকা দিয়েছে। এরপরেই রয়েছে ভারতী গ্রুপ। তারা দিয়েছে ৩৩ কোটি টাকা। শ্রফগ্রুপের ইউপিএল পেয়েছে ২২ কোটি টাকা। গুজরাতের টরেন্ট গ্রুপ দিয়েছে ২০ কোটি, ডিসিএম শিয়ারং ১৩ কোটি, ক্যাডিলা গ্রুপ ১০ কোটি এবং হলদিয়া এনার্জি ১০ কোটি টাকা দিয়েছে। ট্রাস্ট কন্ট্রিবিউশন রিপোর্টে এমনটাই উঠে এসেছে।
নির্বাচনী ট্রাস্ট থেকে কংগ্রেস পেয়েছে ১০ কোটি টাকার মতো। ওড়িশার বিজু জনতা দল পেয়েছে ৫ কোটি টাকা। এর আগে প্রুডেন্টের তালিকায় যেসব দল ছিল, তারা হল শিরোমনি অকালি দল, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি, রাষ্ট্রীয় লোকদল।
নির্বাচনী ট্রাস্টে দেশে বানিজ্যিক সংস্থাগুলির ৯০ শতাংশই যায় এই প্রুডেন্টের ট্রাস্টে। কারও কারও মতে ট্রাস্টের সক্রিয়তা, ইলেকটোরাল বন্ডের গুরুত্বই কমিয়ে দেবে।
২০১৭-১৮ সালে বিজেপি যে ১৪৪ কোটি টাকা পেয়েছে, তা দেওয়া হয়েছে ১৮ টি ভাগে। ২০১৭-তে চারটি চেকের মাধ্যমে কংগ্রেসকে টাকা দেওয়া হয়েছে। ২০১৭-র শেষের দিক থেকে ২০১৮-র জানুয়ারির মধ্যে বিজেডিকে ৩ টি ভাগে টাকা দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে প্রুডেন্টের ট্রাস্টে টাকা দিয়ে আসছে ডিএলএফ, ভারতী, টরেন্ট এবং ইউপিএল। আর ৪ বছর ধরে এই ট্রাস্টের বেশিরভাগ টাকাই পেয়েছে বিজেপি। ২০১৪-র অর্থবর্ষে ৮৫. ৪ কোটি টাকা( ৪৮%) টাকা পেয়েছিল বিজেপি। সেই সময় ট্রাস্টের নাম ছিল সত্য। পরের বছর ট্রাস্টের ১৪১ কোটির মধ্যে ১০৬ কোটি টাকা পেয়েছিল বিজেপি। ২০১৬-তে ৪৭ কোটির মধ্যে ৪৫ কোটি( ৯৬%) টাকা পেয়েছিল দেশের শাসক দল। ওই বছরেই কংগ্রেস পেয়েছিল ২ কোটি টাকা। ২০১৭-তে ২৮৩.৭৩ কোটি টাকা মধ্যে ২৫২.২২ কোটি (৮৮.৯%) টাকা পেয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস পেয়েছে ১৪ কোটি টাকা।
দেশে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইলেকশন ট্রাস্টের ফান্ডিং প্যাটার্ন প্রায় একই রকমের। আদিত্য বিড়লা গ্রুপের এবি জেনারেল ইলেকশন ট্রাস্ট ২০১৮ অর্থবর্ষে ২১ কোটি টাকা দিয়েছে। এর মধ্য়ে ১২.৫ কোটি টাকা পেয়েছে বিজেপি। ১ কোটি পেয়েছে কংগ্রেস। ৮ কোটি টাকা পেয়েছে বিজেডি। তবে মুরুগাপ্পা গ্রুপের ট্রায়াম্প ট্রাস্ট কিন্তু টাকা বন্টন করেছে সমান ভাগে ভাগ করে। তাদের ২ কোটি টাকার মধ্যে ১ কোটি করে দিয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেসকে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে এমনটাই উঠে এসেছে।
কোনও কোনও ট্রাস্ট আবার একটি মাত্র রাজনৈতিক দলকেই তাদের পুরো টাকা দিয়েছে। যেমন জনশক্তি ইলেকটোরাল ট্রাস্ট তাদের পুরো ৫ লক্ষ টাকাই দিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্সকে। অন্যদিকে জনকল্যান ইলেকটোরাল ট্রাস্ট তাদের ৫১ লাখের পুরোটাই দিয়েছে শারদ পাওয়ারের এনসিপিকে। সারা দেশে এখনও পর্যন্ত নথিভুক্ত ২২ টি ইলেকটোরাল ট্রাস্ট রয়েছে।