চিদাম্বরমের গ্রেফতারি নির্দেশ দেওয়ার পরেই পদ প্রাপ্তি বিচারপতির
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমের রক্ষাকবচের মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুনীল গৌর।
কোন পদে বসছেন প্রাক্তন বিচারপতি
পিএমএলএ বা অ্যাপেলেট টরাইবুনাল ফর প্রিভেনশন মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে তাঁকে। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে পদের দায়িত্ব নেবেন তিনি। বর্তমাব চেয়ারম্যান বিচারপতি মনমোহন সিং অবসর নেওয়ার পরের দিনই দায়িত্ব নেবেন তিনি।
চিদাম্বরমের গ্রেফতারি সুগম করেছিলেন তিনি
আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম সিবিআইয়ের গ্রেফতারি এড়াতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে দিল্লি আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। বিচারপতি সুনীল গৌরের এজলাসে ওঠে মামলা। শুনানি চলাকালীন চিদাম্বরমকে এই দুর্নীতিকাণ্ডে কিংপিন দাবি করে তাঁর আগাম জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন বিচারপতি। এই নির্দেশিকর পরেই সিবিআইয়ের গ্রেফতারিতে আর বাঁধা ছিল না। চিদাম্বরমের আইনজীবী দাবি করেছেন বিচারপতি গৌরই নাকি সিবিআইকে নোট পাঠিয়ে আর্থিক দুর্নীতি মামলার চাঁই বলে লিখেছিলেন। ২০ অগস্ট এই নির্দেশ জারি করেন তিনি। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় চিদাম্বরমকে।
গৌরতে চেয়ারম্যান পদে বসানোর কারণ কী
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুনীল গৌরকে এই ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান পদে বসানোকে বিরোধীরা পুরস্কার হিসেবেই মনে করছেন। চিদাম্বরমের গ্রেফতারির পথ সুগম করে দেওয়ার কারণেই তাঁকে এই পদে মনোনিত করেছে মোদী সরকার এমনই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কারণ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের বিভিন্ন ট্রাইবুনাল বা কমিশনের পদে বসানো নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই বিরোিধতা চলে আসছিল। তারপরেও মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই সমীকরণ মেনে করা হয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালে গৌর ছাড়াও থাকছেন আরও দুই সদস্য। সিজি মিশ্র এবং অনন্যা রায়। আইন এবং বিচারমন্ত্রকের অবসর প্রাপ্ত আধিকারিক সি জি মিশ্র। অন্যদিকে অনন্যা রায় শুল্ক দফতরের আধিকারিক।