আরও চওড়া হস্তরেখার চিড়, কংগ্রেসের বেহাল দশা নিয়ে এবার মুখ খুললেন গান্ধী ঘনিষ্ঠ চিদাম্বরম
বিহারে দলের শোচনীয় হারের পর মুখ খুলে জনসমক্ষে ফের আকবার দলীয় কোন্দলকে নিয়ে এসেছিলেন কপিল সিব্বল। তবে কপিল সিব্বলের গান্ধী বিরোধী সুরকে দমিয়ে দিতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা। তবে এবার ফের দল নিয়ে অসন্তোষের সুর এর বর্ষীয়ান নেতার গলায়। বিহারের পাশাপাশি উপ নির্বাচনে দলের শোচনীয় প্রদর্শন নিয়ে এবার মুখ খুললেন পি চিদাম্বরম।
কী বললেন পি চিদাম্বরম?
এদিন এক সাক্ষাৎকারে পি চিদাম্বরম বলেন, 'আমি গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটকের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের ফল নিয়ে বেশি চিন্তিত। কারণ এই ফল থেকেই প্রমাণ হচ্ছে যে বাস্তবে তৃণমূল স্তরে দলের সংগঠনের কোনও অস্তিত্ব নেই অথবা থাকলেও তা দারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'
বিহার নির্বাচনে কংগ্রেসের শোচনীয় হাল
এদিন তিনি আরও বলেন, 'বিহারে আরজেডি-কংগ্রেস জোটের জেতার প্রবল সুযোগ ছিল। জয়ের এত কাছে এসেও কেন হার হল তা খতিয়ে দেখা উচিৎ। মাথায় রাখতে হবে, কংগ্রেস রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং ঝাড়খণ্ডে খুব অল্প দিন আগেই জিতেছে। কংগ্রেস তার সাংগঠনিক ক্ষমতার থেকে অনেক বেশি আসনে লড়েছিল বলেই এই ভাবে হারতে হয়েছে।'
৭০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে মাত্র ১৯টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস
১০ নভেম্বর বিহার নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে৷ যেখানে মহাজোটের অন্য়তম শরিক আরজেডি সবচেয়ে বেশি ৭৫টি আসন পেয়েছে৷ ভালো ফল করেছে বামপন্থী দলগুলিও৷ সেখানে ৭০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে মাত্র ১৯টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস৷ আর তারপরেই কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে চর্চা।
দলীয় নেতৃত্বকে নিশানা করেন কপিল সিব্বল
এর আগে সরাসরি দলীয় নেতৃত্বকে নিশানা করে কপিল সিব্বল বলেছিলেন, সাংগঠনিক ক্ষেত্রে, সংবাদমাধ্য়মে এমনকী মানুষ যাঁদের কথা শুনতে চায়, সেইসব সক্রিয় নেতাকে কংগ্রেসের উপরের সারিতে তুলে আনা হোক৷ তাঁরাই কংগ্রেসে প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজ করবেন৷
খসড়া তালিকায় বাড়ল মহিলা ভোটারদের সংখ্যা, বিহার ফর্মুলার পুনরাবৃত্তি বাংলায়?