খাবার দিতে দেরি করায় রেস্তোরাঁর ম্যানেজারকে বেধড়ক মারধর করল পুলিশ
খাবার দিতে দেরি করায় রেস্তোরাঁর ম্যানেজারকে বেধড়ক মারধর করল পুলিশ
খাবার ডেলিভারি করতে দেরি করায় এবং ফোন না ধরায় এক রেস্তোরাঁ ম্যানেজারকে থানায় ডেকে বেধড়ক মারধর করলেন এক অ্যাসিসট্যান্ট সাব–ইন্সপেক্টর। ওই ম্যানেজারকে জেলে ঢুকিয়ে তাঁর নামে এফআইআরও করেন তিনি। তবে এই জুলুমবাজি করে পার পাননি ওই পুলিশ অফিসার। দিল্লি পুলিশ উল্টে তাঁর নামেই এফআইআর দায়ের করেছে।
অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে বাধা দেওয়া, হেনস্থা, অপরাধীকে ভয় দেখানো এবং ম্যানেজারের কাছ থেকে মানিব্যাগ নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। হজরত নিজামুদ্দিন রেলওয়ে পুলিশ থানাতে ওই পুলিশের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এই থানাতেই এএসআই পদে রয়েছেন অভিযুক্ত পুলিশ। গোটা ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার। এই ঘটনার পর এএসআইকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয় এবং তাঁকে জেলার পুলিশ লাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আক্রান্ত ম্যানেজার গোটা ঘটনাটি তাঁর মোবাইলে ভিডিও করেন, তাঁর ওপর যে নির্যাতন হয়েছে তা বিশদে বলার পাশাপাশি শরীরের ক্ষতগুলিও দেখান। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, থানায় বসানো সিসি ক্যামেরার মধ্যে একটা ক্যামেরায় ম্যানেজারকে হেনস্থা করার ঘটনাটি পাওয়া গিয়েছে।
রেলের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ হরেন্দ্র কুমার সিং জানান, গোটা ঘটনার আভ্যন্তরীণ তদন্তের পরই প্রমাণ হয় যে ওই অফিসার অভিযুক্ত। তাঁকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। হজরত নিজামুদ্দিন রেল স্টেশনের ধারে একটি রেস্তোরাঁ থেকে খাবার অর্ডার করেছিলেন ওই পুলিশ কর্তা। গত বৃহস্পতিবার। তাঁর দাবি, ফোন তুলেই নাকি ওই ম্যানেজার বলেন তিনি ব্যস্ত, খাবার দিতে দেরি হবে। এরপরে আরও কয়েকবার ফোন করেন অফিসার। সেই ফোন নাকি রিসিভ করেননি ওই ব্যক্তি। তাতেই চটে যান পুলিশ কর্তা। এর পরের ঘটনা আরও ভয়ানক। রেস্তোরাঁ ম্যানেজার জানিয়েছেন, তাঁকে থানায় ডেকে পাঠান ওই পুলিশ অফিসার। তিনি বিনীতভাবেই জানিয়েছিলেন রেস্তোরাঁয় ভিড় থাকার কারণে ডেলিভারি দিতে একটু দেরি হয়। কিন্তু কোনও কথাতেই নাকি কান দিচ্ছিলেন না ওই পুলিশ কর্তা। তাঁকে আলাদা ঘরে নিয়ে গিয়ে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। পরে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান। তাঁর গোপনাঙ্গে লাথিও মারেন। যন্ত্রায় চিৎকার করে উঠলে অন্য পুলিশ কর্মীরা এসে তাঁকে জেলে ভরে দেন। তাঁর পকেট থেকে মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেন ওই অফিসার। ব্যাগের মধ্যে ৫০০ টাকা ছিল। এরপরেও অফিসার হুমকি দেন, ভবিষ্যতে তাঁর ফোন দ্রুত রিসিভ না করলে বা খাবার দিতে দেরি করলে ভয়ানক শাস্তি দেওয়া হবে তাঁকে।
নিজের মোবাইলের ক্যামেরা অন করে পুরো ঘটনাই ভিডিও করেন ম্যানেজার। ২ মিনিট ৪১ সেকেন্ডের ভিডিও তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করেন। থানার ভিতর এমন ঘটনা ঘটতে দেখে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
ফ্লোরাইড মিশ্রিত দূষিত পানীয় জল ব্যবহারে অজানা রোগে আক্রান্ত ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দারা