গবাদি পশু বিক্রিতে মোদী সরকারের বিধিনিষেধ, দেশের অর্থনীতি ঘোর সংকটে
বাস্তবে মোদীর কার্যকালে উন্নতির খতিয়ান অন্যকথা বলছে। পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে এখনও অনেক ক্ষেত্রেই আশনুরূপ কিছু দেখা যাচ্ছে না মোদী সরকারের রিপোর্টকার্ডে।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই জনগণের কাছে একঝাঁক প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে বিজেপি শিবির। এরপর একক সংখ্যা গরিষ্ঠতায় নির্বাচন জিতে মসনদ দখল করেও কর্মসংস্থান, উন্নত অর্থনীতি সহ একাধিক প্রতিশ্রুতি দেয় মোদী সরকার। কিন্তু বাস্তবে মোদীর কার্যকালে উন্নতির খতিয়ান অন্যকথা বলছে। পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে এখনও অনেক ক্ষেত্রেই আশনুরূপ কিছু দেখা যাচ্ছে না মোদী সরকারের রিপোর্টকার্ডে। এর ওপর গবাদিপশু বিক্রিতে বিধি নিষেধও দেশের আর্থিক পতনকে খানিকটা ত্বরাণ্বিত করেছে। এমনই তথ্য জানানো হয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে।
গত ৩ বছরের পরিসংখ্যানের নিরিখে দেখা গিয়েছে, ২০১৭-১৮ সালের আর্থিক বৃদ্ধি জুন মাসের কোয়ার্টারে কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৭ শতাংশে। বর্তমানে অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট গত ৪ বছরের নিরিখে সবচেয়ে কম। এর পরিসংখ্যান ওই একই কোয়ার্টারে জিডিপি-র ২.৪ শতাংশ । বেঞ্জিন অয়েলে কর কমে সরকারের ঘরে ঘাটতি ভরানোর আশা করা হলেও, এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দেশজুড়ে কমে গিয়েছে।
শুধু তাই নয়, জিএসটি ও নোটবাতিল ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বহু রকমের জটিলতা অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। এদিকে এই সমস্ত সমস্যার মধ্যে আরও বড় নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছে গবাদিপশু বিক্রির ওপর জারি হওয়া নানা বিধি নিষেধ। গ্রামীণ ভারতে গবাদি পশুবিক্রি অনেক খারাপ আর্থিক সময়েও ইতিবাচক আর্থিক ফল দিয়েছে। নিত্য প্রয়োজন মেটাবার জন্য গবাদিপশুর বিক্রি, বহু সংকটের সময়কেও পেরিয়ে দিয়েছে।
এদিকে, গবাদি পশুর বিক্রি বন্ধ হওয়াতে পশুচারণ ও পালনের ক্ষেত্রেও কমতি দেখা যাচ্ছে। যার একটা বড় ব্যাবসায়িক তথা আর্থিক প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। ২০১৭-১৮ সালে এই পশুপালনের হার নেমে এসেছে বলে দাবি করেছেন দেশের চিফ স্ট্যাটেসটিশিয়ান প্রণব সেন। ফলে এরকম একটি পরিস্থিতি থেকে কীভাবে সমস্যার সমাধান করা হবে, বা অর্থনীতি কীভাবে উন্নতির পথে যাবে সেটাই দেখার।