ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা জারি থাকবে ৩০ ডিসেম্বরের পরেও, বলছে ব্যাঙ্ক
চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন নোট ছাপাতে ও তা সরবরাহ করতে পারেনি নোট ছাপাখানা ও আরবিআই। তাই সম্ভবত ব্যাঙ্ক বা এটিএম থেকে টাকা তোলার সময়সীমা ৩০ ডিসেম্বর থেকে বাড়ানো হতে পারে।
নয়াদিল্লি, ২৬ ডিসেম্বর : চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন নোট ছাপাতে ও তা সরবরাহ করতে পারেনি নোট ছাপাখানা ও আরবিআই। তাই সম্ভবত ব্যাঙ্ক বা এটিএম থেকে টাকা তোলার সময়সীমা ৩০ ডিসেম্বর থেকে বাড়ানো হতে পারে।[পুরনো নোটের কারণে শেষে জরিমানা দিতে হল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকেই ]
এখনও পর্যন্ত বহু ব্যাঙ্কই নোট সমস্যার জেরে সরকারের ধার্য করা প্রতিসপ্তাহে ২৪,০০০ টাকার নতুন নোট দিতেও অসমর্থ হচ্ছে। নোট সমস্যা মিটতে আরও কম করে ২-৩ মাস লাগবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।[৫০০ টাকার নোটের যোগান বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র]
ব্যাঙ্ক যেখানে এক এক জনের আর্থিক চাহিদা মেটাতে অসফল সেখানে বড় বড় কর্পোরেট অফিসগুলোর ক্ষেত্রে মোটা টাকার প্রয়োজন পরে, সেই চাহিদার জোগান দেওয়াও একপ্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাঙ্কগুলির কাছে।[দিল্লি চলো ডাক দিয়ে সিঙ্গুরের ধাঁচে আন্দোলন গড়ার হুঁশিয়ারি মমতার]
সম্প্রতি এসবিআই চেয়ারপার্সন অরুন্ধতী ভট্টাচার্য ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ব্যাঙ্কগুলির কাছে যতক্ষণ না পর্যাপ্ত পরিমান নতুন টাকা আসছে ততক্ষণ ব্যাঙ্ক বা এটিএম থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে যে নির্দেশিকা জারি করা রয়েছে তা তোলা সম্ভব নয়।[নোট বাতিলের পর থেকে কত হাজার কোটি কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে জানেন?]
নোট বাতিলের ঘোষণার পর ব্যাঙ্ক থেকে নতুন টাকা তোলার ক্ষেত্রে কেন্দ্র ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে ২৪,০০০ টাকা এবং এটিএম থেকে ২৫০০ টাকা প্রতিদিন তোলার নির্দেশিকা জারি করেছিল। এই বিধিনিষেধের সময়সীমা দেওয়া ছিল ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর এই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার কথা ছিল।
তবে এখন যা পরিস্থিতি তাতে তা খুব একটা ঠিক সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করছে না ব্যাঙ্কগুলি। অর্থ মন্ত্রকের সচিব জানিয়েছেন, ৩০ ডিসেম্বরের পর রিভিউ করা হবে তারপরই টাকা তোলার ক্ষেত্রে নতুন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নাকি বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ব্যাঙ্ক সংগঠনগুলিও মনে করছে নোট সমস্যা থাকায় একবারে টাকা তোলার বিধি নিষেধ না তুলে একটু একটু করে টাকা তোলার সীমা বাড়ানো উচিত।
পরিসংখ্যান বলছে, ১৫.৪ লক্ষ কোটি টাকার পুরনো নোটের পরিবর্তে আরবিআই ৯ নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কগুলিতে মাত্র ৫.৯২ লক্ষ কোটি টাকা ঢুকিয়েছে।