করোনাকে ভুলতে রসনায় মজেছে দেশবাসী, সুইগিতে অর্ডার ৫.৫ লক্ষের বেশি বিরিয়ানি
করোনাকে ভুলতে রসনায় মজেছে দেশবাসী, সুইগিতে অর্ডার ৫.৫ লক্ষের বেশি বিরিয়ানি
লকডাউনের রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকলেও আনলকে কিছু কিছু রেস্তোরাঁ খুলেছে। তবে কোভিড–১৯–এর সংক্রমণের ভয়ে অনেকেই আর ওমুখো হতে চাইছেন না। বরং অনলাইনে তাঁদের রেস্তোরাঁর প্রিয় খাবার অর্ডার করে বাড়িতে বসে নিরাপদে খাচ্ছেন। সম্প্রতি সুইগি একটি সমীক্ষায় এরকমই জানতে পেরেছে।
সবথেকে বেশি বিরিয়ানি অর্ডার হয়েছে
ডেলিপারি প্ল্যাটফর্ম এই সমীক্ষার নাম দিয়েছে স্ট্যাটইটিস্টিক: দ্য কোয়ারেন্টাইন এডিশন। এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে করোনা ভাইরাস লকডাউনের সময় ৫.৫ লক্ষের বেশি বিরিয়ানির অর্ডার এসেছে, এরপরই অর্ডারের তালিকায় রয়েছে বাটার নান ও মসালা ধোসা। যে কোনও ব্যয়বহুল খাবারই মিষ্টি মুখ ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না, সমীক্ষায় জানা গিয়েছে ১,২৯,০০০ চকো লাভা কেকের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। তারপরই গুলাব জামুন ও বাটারস্কচ মুজ কেক।
৬৫ হাজার মিলের অর্ডার
এই সমীক্ষা এও জানিয়েছে যে প্রতিদিন রাত আটটার সময় খাবারের অর্ডার আসত, যাতে রাতের খাবারের আগে অর্ডার এসে পৌঁছায়। এরকম প্রায় ৬৫ হাজার মিলের অর্ডার এসেছে। গ্রাহকরা গড়ে টিপ দিতেন ২৩.৬৫ টাকা এবং একজন বিশেষ গ্রাহকের কাছ থেকে আড়াই পর্যন্ত টিপ পাওয়া যেত। অনলাইনে যে কোনও অনুষ্ঠান পালনের জন্য কেকের অর্ডার এসেছে ১,২০,০০০।
মুদি খানার জিনিসও ডেলিভার করেছে সুইগি
রান্না করা খাবারের পাশাপাশি, যাঁরা বাড়িতে রান্না করেন তাঁরা সুইগি থেকে মুদি খানার জিনিসও অর্ডার দিয়ে আনাতেন। দেখা গিয়েছে, সেক্ষেত্রে ৩২৩ মিলিয়ন পেঁয়াজ ও ৫৬ মিলিয়ন কলা অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রিপোর্টে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩,৫০,০০০ প্যাকেট ইনস্ট্যান্ট নুডলসের অর্ডার দেওয়া হয়েছে লকডাউনে।
সুইগি জিনি
সুইগি জিনি নামে এই প্ল্যাটফর্মটি স্কুলের বই ডেলিভার করে দেশের হাজার হাজার অভিভাবকদের কাছে। অন্যদিকে হোপ নট হাঙ্গারের উদ্যোগে ১০ কোটি অর্থের বিনিময়ে ৩০ লক্ষ অভাবী মানুষের মুখে অন্ন জুগিয়েছে। এই সময় যখন হাতের পরিচ্ছন্নতা ও মাস্ক আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে গিয়েছে, সেখানে ৭৩ হাজার বোতল হ্যান্ডওয়াশ এবং ৪৭,০০০ হাজার মাস্ক ডেলিভার করেছে।
বাংলা থেকে তৃণমূল , বিজেপির কতজন রয়েছেন সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিতে! তালিকা একনজরে