কাশ্মীরে রাতে ভিড় হাসপাতালে! চেক পোস্টে পাসের বদলে শুধু প্রেসক্রিপশন
১৪৪ ধারা জারি। বন্ধ ফোন, ইন্টারনেট। ফাঁকা হাসপাতাল, অন্তত দিনের বেলায়। সন্ধে নামলেই মানুষ ঘরের চার দেওয়াল ছেড়ে হাসপাতালে যাওয়াকে বেছে নিচ্ছেন।
১৪৪ ধারা জারি। বন্ধ ফোন, ইন্টারনেট। ফাঁকা হাসপাতাল, অন্তত দিনের বেলায়। সন্ধে নামলেই মানুষ ঘরের চার দেওয়াল ছেড়ে হাসপাতালে যাওয়াকে বেছে নিচ্ছেন। দিনের বেলায় ফাঁকা থাকলেও, শ্রীনগরের মহারাজা হরি সিং হাসপাতালে ভিড় রাতে। অন্য হাসপাতালের পরিস্থিতিও কমবেশি একইরকমের।
তবে
হাসপাতালগুলিতে
রোগীদের
ভিড়
ততটা
নেই।
নাম
প্রকাশে
অনিচ্ছুক
এক
চিকিৎসক
জানিয়েছেন,
একটা
বেডে
যেখানে
দুই
রোগীকে
ভর্তি
নেওয়া
হয়েছে,
ঠিক
সেখানেই
বেড
ফাঁকা।
হাসপাতালে
জরুরি
বিভাগেও
রোগীদের
ভিড়
নেই।
চিকিৎসকরাই
চিন্তিত
রোগীদের
পরিস্থিতি
নিয়ে।
যাঁদের
জরুরি
পরিষেবা
দরকার
তাঁরা
কী
করছেন,
প্রশ্ন
করছেন
চিকিৎসকরাই।
মহারাজা
হরি
সিং
হাসপাতালে
প্রতিদিন
অন্তত
দু
ডজন
হার্ট
অ্যাটাকের
রোগী
আসতেন।
কিন্তু
বর্তমান
সময়ে
রোগী
আসছেন
খুব
সামান্যই।
তাও
আবার
শ্রীনগর
থেকে।
বাকি
জায়গার
পরিস্থিতি
কী
সহজেই
অনুমেয়।
অসুস্থ ছেলেকে শের ই কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে নিয়ে যেতে শ্রীনগরের পান্থচকের বাসিন্দা আলি মহম্মদকে রাস্তায় থামানো হয়েছে অন্তত ১১ বার। সবকটি চেকপোস্টেই পাস দেখাতে বলা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কাছে তা ছিল না। চেক পোস্টে দেখিয়েছেন শুধু প্রেসক্রিপশন। আলি মহম্মদ জানিয়েছেন, সোমবার থেকে অসুস্থ তাঁর ছেলে। প্রথম স্থানীয় চিকিৎসককে দেখিয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় শের ই কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে নিয়ে যেতে তিনি বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
মহারাজা হরি সিং হাসপাতালে আসা, বারামূলার বাসিন্দা আজিজ নজরের অবস্থাও একইকরমের। উত্তর কাশ্মীর থেকে আত্মীয়কে নিয়ে এই হাসপাতালে এসেছেন। দেড় ঘন্টার যাত্রী পথে বেশ কয়েকবার থামানো হয়েছে তাঁকে।
এসেন্সিয়াল সার্ভিসেস আইডেনটিটি কার্ডও পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। কেননা সরকার কারফিউ ঘোষণা করেনি। শুধুমাত্র ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল।
মহারাজা হরি সিং হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার নাজির হুসেন চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি কোনও উত্তর দিতে চাননি।
অন্যদিকে, বিলাল আহমেদ এবং তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে প্রধান দরজার বাইরে অপেক্ষা করতে হয়েছে বেশ কিছুক্ষণ। পেটে ব্যথা অনুভব হওয়ায় হাবাকের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকে তাঁদের জেএলএনএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রথমে এক অটোরিক্সা চালককে বললেও সে হাসপাতালে আসতে চায়নি বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।