এবার চাই জলের নিরাপত্তা! তালাচাবিতে বন্ধ ড্রামের অভিনব চিত্র কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে
রাজস্থানের চুরুতে তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৫০ ডিগ্রি। রাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড় ৪৫ থেকে ৪৮ ডিগ্রির মধ্যে। মানুষ লড়াই করছে তাপমাত্রার সঙ্গে। এরই মধ্যে দেখা মিলল এক অস্বাভাবিক চিত্র।
রাজস্থানের চুরুতে তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৫০ ডিগ্রি। রাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড় ৪৫ থেকে ৪৮ ডিগ্রির মধ্যে। মানুষ লড়াই করছে তাপমাত্রার সঙ্গে। এরই মধ্যে দেখা মিলল এক অভিনব চিত্র। জলের ড্রাম বন্ধ করা হয়েছে, তালা-চাবি দিয়ে। গরমে প্রবল জলকষ্টে এই উপায়ই বেছে নিয়েছেন বাসিন্দারা। অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলাশাসক।
জল সংকটে অভিনব উপায়
গরমে প্রবল জনসংকট। তারই মধ্যে জলের নিরাপত্তায় অভিনব উপায় বেছে নিয়েছেন, রাজস্থানের ভিলওয়ারার হুরডা পঞ্চায়েতের পারাসম্পূরা গ্রামে বাসিন্দারা। খাবার জলের চুরি রুখতে জলের ড্রামে তালা চাবি দেওয়ার বন্দোবস্ত করে ফেলেছেন তারা। প্রবল জলকষ্টে থাকা রাজ্যগুলির মধ্যে এই ছবির দেখা মেলে মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশেও।
সোনা-রুপোর সঙ্গে তুলনা
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গ্রামে প্রতি দশদিনে একদিন ট্যাঙ্কারে জল আসে। ফলে খাবার জলের জন্য রেশন করা ছাড়া আর কোনও উপাই থাকে না। এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, খাবার জলের মূল্য এতটাই যে, তার মূল্য রুপো কিংবা সোনার থেকে কোনও অংশে কম নয়। যদি জলের ড্রাম তালাচাবি দিয়ে না রাখা হয়, তে যে কেউ নিয়ে যেতে পারে। আর যদি জল শেষ হয়ে যায়, বাড়ির ছোটরা খাবেটা কী, প্রশ্ন করেছেন এক গ্রামবাসী।
|
পরিস্থিতি স্বীকার করেছেন জেলাশাসক
গ্রামবাসীদের মন্তব্যের সহ সহমত জেলাশাসক রাজেন্দ্র ভাট। জলের সংকট যে প্রতিদিনের জীবন ধারনে প্রভাব ফেলছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তবে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। জেলাশাসকের দাবি, ওই গ্রামে প্রতি সপ্তাহে একবার জল সরবরাহ করা হয়। তিনি জানিয়েছেন, হিন্দুস্তান জিঙ্ক গ্রামটিকে দত্তক নিয়েছে। খনিজ কাজের জন্যই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন তিনি।
(ছবি সৌজন্য: পিটিআই)