রাতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা! আটক একাধিক ডাক্তার, লাঠিচার্জের অভিযোগ
ডাক্তারদের বিক্ষোভে উত্তাল রাজধানীর রাজপথ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় দিল্লিতে। নিট-পিজি ২০২১ কাউন্সিলিংয়ে দেরির অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ কয়েক হাজার রেজিডেন্ট ডাক্তার জড়ো হন রাজধানীর রাজপথে। আর লাগাত
ডাক্তারদের বিক্ষোভে উত্তাল রাজধানীর রাজপথ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় দিল্লিতে। নিট-পিজি ২০২১ কাউন্সিলিংয়ে দেরির অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ কয়েক হাজার রেজিডেন্ট ডাক্তার জড়ো হন রাজধানীর রাজপথে। আর লাগাতার বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। আর এই বিক্ষোভ-আন্দোলনকে ঘিরেই উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
পুলিশ এবং আন্দোলনরত ডাক্তারদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। পুলিশ এবং ডাক্তারদের অভিযোগ সংঘর্ষে তাঁদের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকজন ডাক্তারকে আটক করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
রেজিডেন্ট ডাক্তাররা বিক্ষোভ-আন্দোলনের গতি বাড়াতে সোমবার দিল্লির রাজপথে জড়ো হয়। এবং লাগাতার আন্দোলন দেখাতে শুরু করে। ডাক্তারদের আন্দোলনে বেশ কয়েকটি হাসপাতালের কাজে ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত হয়। চিকিৎসক না থাকার কারনে অনেক রোগীকে চিকিৎসা করাতে এসে ফিরে যেতে হয়। কার্যত সফরদং, আরএমএল সহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালে এর প্রভাব পড়ে। গত কয়েকদিন ধরেই রেজিডেন্ট ডাক্তারদের সংগঠন ফেডারেশন অফ রেজিডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে মনীষ জানান, নির্দিষ্ট দাবিতে এই আন্দোলন চলছিল। মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত লং মার্চ করার কথা ছিল। সেই মতো এগোচ্ছিলাম আমরা, বলেন মনীষ। আর লং মার্চ শুরু হতেই নিরাপত্তায় থাকা আধিকারিকরা তাঁদের আটকে দেয় বলে অভিযোগ। এমনকি লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকজন জুনিয়ার ডাক্তারকে আটক করা হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, সুরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে এগোনোর কারনে আটক করা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। একাধিকবার আন্দোলনরত ডাক্তারদের সরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু না যাওয়ার ফলেই এই ঘটনা বলে দাবি দিল্লি পুলিশের। তবে এই ঘটনার পরেই আন্দোলনরত ডাক্তাররা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করে বলে অভিযোগ। আর তাতে আরও পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ।
দিল্লি হাসপাতালে কর্মরত এক ডাক্তারের দাবি, এদিনের এই ঘটনা ভারতের ইতিহাসে আরও একটা কালো দিন। পুলিশ কীভাবে ডাক্তারদের উপর লাঠিচার্জ করতে পারে। প্যান্ডামিকের সময়ে সারাদিন আমরা কাজ করেছি, মানুষকে বাঁচিয়ে তুলেছি আর সেখানে আমাদের উপরেই এই আঘাত! ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ ডাক্তারদের সমস্ত সংগঠনগুলি। তাঁদের দাবি, ন্যায্য দাবিতে এই আন্দোলন চলছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারি।