অনন্ত কালের জন্য নয়, সংরক্ষণ হওয়া উচিৎ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, সুর বদল সুপ্রিম কোর্টের
Array
যাদের আর্থিক ক্ষমতা কম তাঁরা সাধারন জাতের হলেও তাঁদের সংরক্ষণ করা দরকার এই কথা উঠতেই এই সংরক্ষণ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হওয়া উচিৎ বলে কথা উঠল আদালতে। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট এই সাধারন বর্গের মানুষের সংরক্ষণের কথা বলেই এই কথা উঠেছে। এও বলা হচ্ছে যে সংরক্ষণ যদি করতেই হয় তাহলে তা হওয়া উচিৎ শ্রেণী, জাতি, বর্গের ভিত্তিতে না হওয়া।
সংবিধানের সংশোধন
অনগ্রসর
শ্রেনীর
সংরক্ষণ
নিয়ে
১০৩
নম্বর
সংবিধানের
সংশোধন
নিয়ে
কথা
বলতে
গিয়ে
বিচারপতি
এম
ত্রিবেদি
এবং
জেবি
পারদিওয়ালা
বলেছেন
যে
যদি
সংরক্ষণ
হয়
তাহলে
তা
কিছু
সময়ের
জন্য
হওয়া
উচিৎ
তা
চিরকালীন
হওয়া
উচিৎ
নয়।
কী বলেন এম ত্রিবেদী?
এম ত্রিবেদি, বলেছেন যে, "এই সংরক্ষণের জন্য এখনও ভারতে রয়ে গিয়েছে। সংবিধানে বলাও আছে যে সংরক্ষণ একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হওয়া উচিৎ। আমরা মবে করি কিছু সময়ের জন্য সংরক্ষণ থাকলেও তা পড়ে আর থাকা উচিৎ নয়। অনগ্রসর শ্রেণী যদি বলা হয় তাহলে তাঁদেরও সমানভাবেই থাকতে হবে। যেভাবে একজন সাধারণ শ্রেণীর মানুষ লড়াই করছেন। সেভাবেই তাঁরাও সমাজের যেকোনও ক্ষেত্রে লড়াই করা উচিৎ বলে আমরা মনে করছি। তা সংরক্ষণ হলে তা অনন্তকালের জন্য নয় একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য থাকা উচিৎ"।
কী বলেন বিচারপতি পারদিওয়ালা ?
বিচারপতি পারদিওয়ালা বলেছেন এটাই কোনও শেষ কথা নয় , এটা আসলে করা সামাজিক ও অর্থনৈতিক সঠিক নির্বাচন হওয়ার জন্য। এটা কোনওভাবে অপাত্রে ব্যাবহার হওয়া উচিৎ নয়।
আগে কী বলেছিল আদালত?
গতকাল সুপ্রিম কোর্ট বলে যে, ১০ শতাংশ সংরক্ষণ অব্যাহত থাকবে। আর্থিক অনগ্রসরদের সংরক্ষণ পক্ষে রায় দিয়েছেন পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের মধ্যে চারজন। আদালত তার রায়ে জানিয়েছে যে, সংবিধানকে কোনভাবেই লঙ্ঘন করে না অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ।
সংরক্ষণকে বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী আর্থিক অনগ্রসরদের সংরক্ষণকে বহাল রেখে বলেছিলেন যে, "মূলনীতি ও চেতনার লঙ্ঘন করে না এই কোটা। সংরক্ষণের পক্ষে মত দেন মহেশ্বরী ছাড়াও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী। ১০ সংরক্ষণ শতাংশ সংরক্ষণকে মান্যতা দিয়েছেন বিচারপতি জেপি পারদিওয়ালাও। সরকারি চাকরি বা শিক্ষাক্ষেত্রে কোনও সুযোগ পাচ্ছেন না যারা সংরক্ষণের বাইরে রয়েছেন। তাঁরা এই সুযোগ পাচ্ছেন না কারণ তাঁরা আর্থিকভাবে দুর্বল। সাধারণ শ্রেণির একটা বড় অংশের এই অবস্থায় রয়েছেন। ১০৩-তম সংবিধান সংশোধনের ভাবনাচিন্তা হয় যাতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের আওতায় যাতে আনা যায়।