আগামী শতাব্দীতেই ভারতের উষ্ণতম রাজ্য হিসাবে চিহ্নিত হতে পারে কোন অঞ্চল, জানেন কি
আগামী শতাব্দী থেকেই ভারতের উষ্ণতম রাজ্য হিসাবে চিহ্নিত হতে পারে কোন অঞ্চল, জানেন কি
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় ভারতে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব সম্পর্কে উঠে এল একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই গবেষণায় ভবিষ্যদ্বাণী করে বলা হয়েছে আগামী শতাব্দী অর্থাৎ ২১০০ সালের মধ্যে ভারতের উষ্ণতম রাজ্য হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে ওড়িশা। টাটা সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের সঙ্গে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট ল্যাবের যৌথ গবেষণায় দাবি করা হয়েছে ২১০০ সালের মধ্যে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের গড় বার্ষিক তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে।
অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ৮ গুণ বাড়তে পারে ওড়িশার তাপমাত্রা
গতমাসে ভুবনেশ্বরে প্রকাশিত টাটা সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের (টিসিডি) একটি সমীক্ষায় উঠে আসে একটি উদ্বেগজনক তথ্য। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ওড়িশায় চরম উষ্ণতম দিনের সংখ্যা আগামীতে (৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের বেশি উষ্ণ) ৩০ থেকে ৩২ গুণ বাড়তে পারে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০১০ সালে যেখানে তীব্র দাবদাহ যুক্ত দিনের সংখ্যা ছিল গড়ে ১.৬২ শতাংশ সেটা ২১০০ সালে গড়ে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৪৮.০৫ শতাংশ।
অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ৮ গুণ বাড়তে পারে ওড়িশার তাপমাত্রা
গতমাসে ভুবনেশ্বরে প্রকাশিত টাটা সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের (টিসিডি) একটি সমীক্ষায় উঠে আসে একটি উদ্বেগজনক তথ্য। যেখানে দেখা যাচ্ছে, উড়িষ্যায় চরম উষ্ণতম দিনের সংখ্যা আগামীতে (৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের বেশি উষ্ণ) ৩০ থেকে ৩২ গুণ বাড়তে পারে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০১০ সালে যেখানে তীব্র দাবদাহ যুক্ত দিনের সংখ্যা ছিল গড়ে ১.৬২ শতাংশ সেটা ২১০০ সালে গড়ে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৪৮.০৫ শতাংশ।
অত্যধিক গরমের জন্য দায়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি
ওড়িশার ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য রাজ্যের ৫২ টির ও বেশি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে। বিশেষত অ্যাঙ্গুল-তালচের খনির বেল্টে, কয়লার বিপুল পরিমাণ নির্গমন এই রাজ্যের তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে আরও তরান্বিত করে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের।
অস্বাভাবিক দাবদাহের কারণে একলাফে বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা
যেখানে অস্বাভাবিক দাবদাহের কারণে ১৯৯৯ সালে প্রায় ২,০৪২ জনের মৃত্যু হয়েছিল, সেখানে আর এক শতক পর ৪২,০০০ জনের মৃত্যু কোনোভাবেই অস্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। প্রতিবছর দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা, এই প্রসঙ্গে ভুবনেশ্বরের বাসিন্দা মুক্তি কান্ত রাউত বলেছেন, " গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রীর কাঁটাও পার হয়ে যায়। যার জেরে মানুষের পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পরে গাছপালাও"।
বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষিত কমাতে হবে কলকারখানার পরিমাণ
উদীয়মান শিল্পকেন্দ্র হিসেবে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের থেকে নিঃসন্দেহে এগিয়ে আছে ওড়িশা। অন্যদিকে বিশ্ব উষ্ণায়নের ঝুঁকি ও এই রাজ্যে সবচেয়ে বেশি। তাই সার্বিক জনকল্যাণের স্বার্থে এবং বাস্তু-স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে এই রাজ্যে শিল্প প্রবৃদ্ধির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও কলকারখানার পরিমাণ কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
ভিন্ন মত প্রকাশ শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ আমির জিনা অবশ্য এই তথ্যের সঙ্গে সহমত নন, তিনি জানান, " আনুমানিক মৃত্যুর হারের পরিসংখ্যানটি তখনই সম্ভব যদি আমরা কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্যান্য গ্রিন হাউস গ্যাস গুলির নির্গমন ও ক্ষতিকারক প্রভাব গুলি হ্রাস করার জন্য সঠিক ব্যবস্থা না নিই। " তিনি আরও জানান, ভারত এবং ওড়িশার এখন থেকেই এই গ্যাস গুলির ক্ষতিকারক প্রভাব হ্রাস করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।