ছ’মাস ধরে টাকা পাচ্ছেন না গবেষক–স্কলাররা, চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে
ছ’মাস ধরে টাকা পাচ্ছেন না গবেষক–স্কলাররা, চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে
প্যান–ইন্ডিয়ার গবেষক–স্কলাররা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে দাবি করেছেন যে তাঁরা গত ছয় মাস ধরে তাঁদের ফেলোশিপ বৃত্তি পাচ্ছেন না। এই অর্থকে নিয়মিত করার দাবিতে গবেষকরা জানিয়েছেন যে এই লকডাউন চলার জন্য এই দাবিকে আরও জোরালো করতে তাঁরা এ সংক্রান্ত নথি জোগাড়ে অসফল হচ্ছেন।
চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে
জাতীয় স্তরের জেআরএফ, এসআরএফ, পিএইচডি স্কলার বলেন, ‘অভূতপূর্ব পরিস্থিতি বিবেচনা করে, কোনও গবেষণা স্কলারদের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসগুলির সঙ্গে এবং প্রকল্পের কর্মী বা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মীদের পক্ষে ফেলোশিপ বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রক্রিয়া করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অতএব, এককালীন অনুদান হিসাবে, আমরা আপনাকে অনুরোধ করছি যে সমস্ত জেআরএফ / এসআরএফ / আরএ / পোস্টডক্টোরাল গবেষকদের ফেলোশিপগুলি তহবিলের অর্থায়ন সংস্থা নির্বিশেষে প্রকাশ করুক।'
অনিয়মিত বৃত্তির টাকা
লখনউয়ের সিএসআইআর-এসআরএফ, জৈব মেডিক্যাল গবেষণাগার কেন্দ্রের নিখিল গুপ্তা বলেন, ‘আমার অ্যাকাউন্টে ২০০ টাকা পড়ে রয়েছে এবং আমি এখনও জানি না কবে বৃত্তির টাকা পাব। এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতে দেশকে সহায়তা করার জন্যই আমাদের গবেষণা, কিন্তু সেটা কিভাবে সম্পন্ন করব যদি না আমরা আমাদের পরিবারকে ও নিজেরা খেতে পাই।' অধিকাংশ গবেষকই অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে তাঁরা গত ছ'মাস ধরে বৃত্তির টাকা পাচ্ছেন না, আবার কিছুজনের অভিযোগ তাঁরা একবছর এই টাকা পায়নি। গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগার পল্লবী বোরা বলেন, ‘আমি ২০১৯ সালের জুলাই থেকে বৃত্তির টাকা পাইনি। সিএসআইআরের ওয়েবসাইটে ও কলেজের প্রশাসনের কাছে আমি আমার সব বিল জমা দিয়েছি। আমি সিএসআইআরের অভিযোগ পোর্টালের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করি কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি। আমি বাধ্য হয়ে টিউশন করতে শুরু করি।'
গত বছর প্রতিবাদ জানান গবেষক–স্কলাররা
গত বছরই অনিয়মিত বৃত্তির টাকা আসার জন্য গোটা দেশজুড়ে গবেষক-স্কলাররা মানব সম্পদ মন্ত্রকের বাইরে জমায়েত হয়ে প্রতিবাদ দেখিয়েছিলেন। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই টাকা নিয়মিত ও বাড়ানোর আশ্বাস দেওয়া হয়।