টিকা করণের পরেও নির্দিষ্ট সময়ের পর প্রয়োজন বুস্টার ডোজ! কী বলছে গবেষণা
টিকা করণের পরেও নির্দিষ্ট সময়ের পর প্রয়োজন বুস্টার ডোজ! কী বলছে গবেষণা
বিশ্বের পাশাপাশি ভারতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। করোনা সমক্রমণের নতুন ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা টিকা নেওয়ার বিষয়ে যে আগ্রহ দেখতে পাওয়া গিয়েছিল, সেই প্রবণতা বুস্টার ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনা টিকাকরণের ফলে শরীরের মধ্যে তৈরি অ্যান্টিবডির সংখ্যা একটা সময়ের পর কমতে শুরু করে। যার জন্য বুস্টার ডোজের প্রয়োজন।
করোনা ভ্যাকসিনের ওপর গবেষণা
১৫ জুন প্রসিডিং অফ দ্য ন্যশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স নামের একটি পত্রিকায় গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে মূলত শরীরে করোনা ভাইরাসের অ্যান্টবডি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। গবেষক জেফরি পি টাউনসেন্ড ও তাঁর সহকারীরা মূলত প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরের মধ্যে তৈরি করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি ও টিকার ফলে সৃষ্টি অ্যান্টিবডির সময়কাল নিয়ে পর্যালোচনা করেন। সেখানেই তাঁরা দেখেন, একটা সময়ের পরে করোনা টিকাকরণের ফলে সৃষ্ট অ্যান্টিবডির সংখ্যা কমতে থাকে। যার জেরে বুস্টার ডোজের প্রয়োজন।
অ্যান্টিবডির পর্যালোচনা
গবেষকরা অ্যান্টিবডির স্থায়ীত্বকাল নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে কয়েকটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। সেখানে একজন সাধারণ মানুষের ইমিউনিটির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনা আক্রান্তের আগের পরিস্থিতি, প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি অ্যান্টিবডি ও করোনা টিকা নেওয়ার পর অ্যান্টিবডির সংখ্যা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। টিকা নেওয়ার ফলে সৃষ্টি অ্যান্টিবডি ও প্রাকৃতি উপায়ে সৃষ্টি অ্যান্টিবডির সংখ্যা কতদিন পর থেকে হ্রাস পেতে শুরু করে এই বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
টিকার পরেও প্রয়োজন বুস্টার ডোজের
এই গবষেণার জন্য চার ধরনের করোনার টিকা, তার ফলে সৃষ্ট অ্যান্টিবডি, সেই অ্যান্টিবডির স্থায়িত্বকালের ওপর পর্যালোচনা করা হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফাইজার ও মর্ডানা ভ্যাকসিনের ফলে সৃষ্ট অ্যান্টিবডির সংখ্যা প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি অ্যান্টবডির কয়েকগুন বেশি। প্রাকৃতিক উপায়ে করোনা ভাইরাসের যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তা প্রায় ২১.৫ মাসের সুরক্ষা দেয়। অন্যদিকে, ফাইজার বা মর্ডানা ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে আরও বেশি সময়ের জন্য সুরক্ষা দেয়। এই দুই ধরনের ভ্যাকসিনের ফলে সৃষ্ট অ্যান্টিবডির স্থায়িত্বকাল প্রায় ২৯.৬ মাস। অন্যদিকে অক্সফোর্ড-অস্ট্রেজেনকার ভ্যাকসিনের তৈরি অ্যান্টিবডির স্থায়িত্বকাল ২২.৪ মাস এবং জনসন অ্যান জনসন ভ্যাকসিনের ফলে তৈরু হওয়া অ্যান্টিবডির স্তর ২০.৫ মাসের সুরক্ষা দিয়ে থাকে। ফলাফল দাবি করছে, করোনা ভাইরাস থেকে ধারাবাহিক সুরক্ষা পেতে বুস্টার ডোজের প্রয়োজন।
২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ২০,৫২৮ জন, সামান্য পতন মৃত্যু সংখ্যায়