বাধ্যতামূলক নয় গবেষণা, পদোন্নতির জন্য কলেজ শিক্ষকদের পালন করতে হবে এই নিয়মগুলি
কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য গবেষণা বা রিসার্চ পেপার প্রকাশ করা আবশ্যিক নয়। বরং তার থেকে বেশি ছাত্রদের সঙ্গে মিলে কোনও গোষ্ঠীবদ্ধ কাজ কর্মে যোগ দিলে , তা তাঁদের পদোন্নতির পক্ষে সহায়ক হবে।
কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য গবেষণা বা রিসার্চ পেপার প্রকাশ করা আবশ্যিক নয়। বরং তার থেকে বেশি ছাত্রদের সঙ্গে মিলে কোনও গোষ্ঠীবদ্ধ কাজ কর্মে যোগ দিলে , তা তাঁদের পদোন্নতির পক্ষে সহায়ক হবে। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত একটি জাতীয় স্তরের সম্মেলনে একথা জানান।
কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী জানিয়েছেন, ' সরকার শীঘ্রই আইন বদল করবে। কলেজ শিক্ষকদের জন্য গবেষণার বিষয়টি আর বাধ্যতামূলক থাকবে না। তার জায়গায় আমি চাই ছাত্রদের সঙ্গে মিলে শিক্ষকরা কোনও কাজ করুন। কমিউনিটি অ্যাক্টিভিটি বা ছাত্রদের নিয়ে কাজ করতে হবে শিক্ষকদের। যা বাধ্যতামূলক হতে চলেছে।" এই কাজের ওপর নির্ভর করেই শিক্ষকদের পদোন্নতির মূল্যায়ন হবে বলে তিনি জানান। খুব শিগগিরিই এই বিষয়টি সরকারিভাবে ঘোষণা করা হবে।
কেন এই সিদ্ধান্ত? জাভড়েকর জানিয়েছেন ,এই বাধ্যবাধকতার জন্য় ভালো মানের গবেষণা হচ্ছে না। বরং কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তাঁদের ম্যাগাজিনকে জার্নাল বলে নথিভুক্ত করছে। এরকম ১৩ হাজার জার্নাল নথিভুক্ত হয়েছে। মন্ত্রীর বক্তব্যের পর থেকেই শিক্ষক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা।
জাভড়েকরের বার্তা, কলেজ শিক্ষকরা শুধুই শিক্ষকতার ওপরেই যেন জোড় দেন। গবেষণা বাধ্যতামূলক করার পর দেখা গিয়েছে, তা শুধুই করার জন্য করে থাকেন বহু শিক্ষক। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, যাঁরা ছাত্রদের এম .ফিল ও পিএইচডি তে সাহায্য করবেন , তাঁদের জন্য গবেষণা বাধ্যতামূলক বলে তিনি জানিয়েছেন।