'আমাদের প্রেরণা জুগিয়েছেন', জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে নেতাজিকে স্মরণ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের
রাত পোহালেই প্রজাতন্ত্র দিবস। আর গণতন্ত্র দিবসের আগেই জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ। এদিন তাঁর ভাষণে দেশের অর্থনীতি, করোনা পরিস্থিতি এবং ভ্যাকসিনেশন সহ একাধিক বিষয়ে জ
রাত পোহালেই প্রজাতন্ত্র দিবস। আর গণতন্ত্র দিবসের আগেই জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ। এদিন তাঁর ভাষণে দেশের অর্থনীতি, করোনা পরিস্থিতি এবং ভ্যাকসিনেশন সহ একাধিক বিষয়ে জায়গা পায়। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তাঁর ভাষণে শুরুতেই নেতাজিকে তুলে ধরেন।
বলেন, ২৩ জানুয়ারি আমরা নেতাজির ১২৫ তম জন্ম বার্ষিকি পালন করেছি। আমাদের প্রেরণা জুগিয়েছেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। মন্তব্য রাষ্ট্রপতির।
২৬ জানুয়ারি দিল্লির রাজপথে বাংলার পাঠানো ট্যাবলো বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আর তা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত তৈরি হয়েছে। বাঙালির আবেগকে আঘাত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ভোটের মুখে নেতাজি আবেগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এমনও অভিযোগ উঠেছে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে নেতাজির অবদানকে দেশের সামনে তুলে ধরলেন রামনাথ কোবিন্দ। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন নেতাজিপ্রেমীদের একাংশ।
এদিন সন্ধ্যায় রামনাথ কোবিন্দ বলেন, দেশের স্বাধীনতা আনার ক্ষেত্রে সুভাষ চন্দ্র বসুর অবদান অনস্বীকার্য। গত দুদিন আগেই দেশ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্ম শতবার্ষিকী পালন করেছে। দেশের স্বাধীনতা আনার ক্ষেত্রে 'জয় হিন্দ' স্লোগানের মাধ্যমে দেশের মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করেন তিনিই। স্বাধীনতা আনার জন্যে যেভাবে লক্ষ্য স্থির রেখে লড়াই করেছিলেন এবং দেশকে গর্বিত করেছিলেন তা আমাদের সবাইকে প্রেরণা জোগায় বলেই এদিন তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন কোবিন্দ।
অন্যদিকে তাঁর ভাষণে করোনা পরিস্থিতির কথাও উঠে এসেছে। একই সঙ্গে যেভাবে দেশ অন্যান্যদের করোনা ভ্যাকসিনের টিকা দিয়ে সাহায্য করছে সে বিষয়টিও তুলে ধরেন রামনাথ কোবিন্দ। বলেন, এত কঠিন সময় আগে বিশ্ব দেখেনি। করোনার বিরুদ্ধে দুই বছর ধরে লড়াই চলছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি বারবার ধাক্কা খেয়েছে।
একই সঙ্গে বিপিন রাওয়াতের প্রসঙ্গও জাতির উদ্দেশ্য দেওয়া ভাষণ তুলে ধরেন। বলেন, গত মাসে আমরা দেশের বীর সেনা প্রাক্তন সিডিএস বিপিন রাওয়াতকে দুর্ঘটনায় হারিয়েছি। সেই দুর্ঘটনায় রাওয়াতের স্ত্রী সহ অনেক সাহসী সেনা অফিসারকে আমরা হারিয়েছি। এই ঘটনায় গোটা দেশ শোকাহত।
অন্যদিকে সেনা যেভাবে সীমান্ত প্রহরা দিচ্ছে তা প্রশংসাযোগ্য। একইসঙ্গে পুলিশ কর্মীরা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় দায়িত্বে রয়েছে। তাঁদের কারণেই দেশবাসী নিশ্চিন্তে রয়েছে। তাই বীর সেনা শহিদ হলে সারা দেশ দুঃখে কেঁদে ওঠে।