আদালতের নির্দেশে রাজভবনে উদযাপিত হল Republic Day, যোগ দিলেন না কেসিআরের মন্ত্রীরা
কেসিআরের অনুপস্থিতিতেই রাজভবনে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন তেলেঙ্গানায়
রাজভবনে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হল তেলেঙ্গানায়। শাসক বিরোধী দ্বন্দ্বে আদালতের নির্দেশে রাজভবনেই প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করলেন রাজ্যপাল। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি শাসক শিবিরের মন্ত্রীরা। কেসিআর সহ কোনও মন্ত্রীকেই রাজভবনে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান নিয়েও তরজা তেলঙ্গানায়। শেষ হয়ে এসেছে কেসিআরের মেয়াদ। চলতি বছরেই বিধানসভা নির্বাচন তেলেঙ্গানায়। তার মধ্যে শাসক বিরোধী সংঘাত চরমে উঠেছে। গতবছর করোনার কারণে বড় করে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়নি। নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তাতে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই বিরোধ হাইকোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। শেষে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের নির্দেশ দেয়।
এবং আদালত রাজ্য সরকারকে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের জন্য জায়গা পছন্দ করতে বলেছিল। কারণ তেলেঙ্গানার এক বাসিন্দা আদালতে মামলা করেছিলেন যে যেভাবেই হোক তিনি প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান দেখতে চান। পরিবারের সকলকে নিয়ে প্যারেড দেখতে চান তিনি। তাতে শিশুদের মধ্যে দেশাত্মবোধ জেগে ওঠে। করোনার আগে ২০২০ এবং ২০২১ সালে হায়দরাবাদে বিধানসভা ভবনের পাশেই ঐতিহাসিক প্যারে়ড গ্রাউন্ডে পতাকা উত্তোলন করলেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর মন্ত্রিসভাও সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন।
কিন্তু ২০১৪ সালে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর কেসির প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান গোলকোন্ডা ফোর্টে স্থানান্তর করেন। কিন্তু সেখানে সকলের পক্ষে সহজে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব নয়। বিধানসভার পাশে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে অনেক সহজেই মানুষ সেখানে পৌঁছে যেতে পারে বলে আদালতে আবেদ ন জানানো হয়েছিল। জায়গা বাছাইয়ের দড়ি টানাটানির মাঝে শেষে রাজভবনেই উদযাপিত হল প্রজাতন্ত্র দিবস। পতাকা উত্তোলন করলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তাতে আপত্তি জানিয়ে হাজির হলেন না মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর এবং তাঁর মন্ত্রিসভার মন্ত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী নিজের বাসভবনে পতাকা উত্তোলন করেন।
প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু