গুজরাতে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন এই টেলি অভিনেত্রী! কেন বাদ আগের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি
স্মৃতি সেভাবে জননেতা না হলেও বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর উপরে ভরসা রাখে। যার জন্য ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেলেও তিনি মোদীর ক্যাবিনেটে গুরুত্বপূর্ণ সব মন্ত্রক সামলিয়েছেন।
টেলি সিরিয়ালের দৌলতে ঘরে ঘরে তার পরিচিতি। তাঁর ভারতীয় গৃহবধূর ঘরোয়া লুক এখনও তাঁকে মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় করে রেখেছে। শুধু অভিনয় গুণেই নয় বাগ্মিতাতেও পটু এই অভিনেত্রী। তাঁর মধ্যে নাকি একজন প্রকৃত নেত্রীর সমস্ত রসায়নই মজুত আছে বলেও মনে করে বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব। সম্প্রতি গুজরাত থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন এই টেলি সিরিয়াল অভিনেত্রী স্মৃতি ইরানি।
স্মৃতি সে ভাবে জননেতা না হলেও বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর উপরে ভরসা রাখে। যার জন্য ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেলেও তিনি মোদীর ক্যাবিনেটে গুরুত্বপূর্ণ সব মন্ত্রক সামলিয়েছেন। বর্তমান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। অর্ধেক বাঙালি স্মৃতির পিতৃপরিচয়ে রয়েছে গুজরাতের সংস্কারও। সেই সঙ্গে গুজরাতি ভাষাটাও ভালো করে জানেন।
সেই কারণে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদে স্মৃতি ইরানিকেই পছন্দ বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্বে। বিশেষ স্মৃতি মোদী ও অমিত শাহ'র খুবই ঘনিষ্ঠ। এটাও তাঁকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে এগিয়ে রেখেছে।
মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই তাঁকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীত্ব এবং বিধায়কের পদ ছাড়তে হয়েছিল। সে সময় মোদী পরবর্তী হিসাবে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল আনন্দী বেন প্যাটেলকে। যদিও, প্য়াটেল সম্প্রদায়ের আন্দোলনের ফলে আনন্দী বেন প্যাটেলকে পদ ছাড়তে হয়। সেই স্থানে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিজয় রূপানি। যদিও, এই ক'বছরে বিজয় রূপানি যে খুব ভালোভাবে রাজ্য চালিয়েছেন এমনটা নয়। তাঁর সময়েও বহু বিতর্ক তৈরি হয়। খোদ বিজয় রূপানির সংস্থাকে বেআইনি আর্থিক লেনদেন-এর অভিযোগে নোটিস ধরায় ইডি।
২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনের জয় এলেও গুজরাতে আসন সংখ্যা কমেছে বিজেপি-র। তাই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদে মোদী এবং অমিত শাহরা এক নতুন মুখ আনতে চাইছেন বলে সূত্রের খবর। সেই সঙ্গে তাঁরা এমন এক মুখ খুঁজছেন যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। সেই সঙ্গে সেই ব্যক্তির নেতা সুলভ আচরণও শক্তিশালী হতে হবে। এই সব কারণেই স্মৃতিকে অটোমেটিক চয়েস বলেই মোদী ও অমিত শাহ মানছেন বলে খবর। এই সম্ভাবনায় স্মৃতিকে দৌঁড়ে এগিয়ে রেখেছে গুজরাতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সূত্র।
যদিও, স্মৃতি গুজরাতে মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর অভিষিক্ত হওয়ার খবরকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এমন কোনও পরিকল্পনার কথা তাঁর জানা নেই।
স্মৃতি যদি গুজরাত-এর মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিতে অস্বীকার করেন তাহলে তাঁর পরেই লড়াইয়ে আছেন মনসুখ এল মান্দাভিয়া। তিনি আবার সড়ক, পরিবহণ ও জাহাজ মন্ত্রকের মন্ত্রী।