করোনা আবহে অর্থনীতির হাল ফেরাতে রেপোরেটে আর কাটছাঁট নয়! ঘোষণা আরবিআই গভর্নরের
আরও বেশি করে নগদ প্রবাহ বাড়াতে ও অর্থনীতিকে সচল করতে এর আগে বেশ কয়েক দফা রেপো রেট কমিয়েছিল আরবিআই। তবে এবার আর সেই পথে হাঁটল না আরবিআই। এর আগের বার আর্থিক নীতি কমিটিবৈঠকে ৪০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে রেপোরেট কমিয়ে আনা হয়েছিল ৪ শতাংশে। এবারের বৈঠকে আরবিআই-এর তরফে রেপোরেটকে সেই হারে বহাল রাখারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
২৪তম অর্থনৈতিক নীতি কমিটির বৈঠক
এদিন শেষ হয় আরবিআই-এর ২৪তম অর্থনৈতিক নীতি কমিটির বৈঠক। তিন দিনের এই বৈঠকের পর রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার ঘোষণা করা হল। এই বিষয়ে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন যে, অনেক আলাপ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এবার রেপো রেটে কোনও পরিবর্তন করা হবে না।
রেপোরেট ও রিভার্স রেপোরেট কী?
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলোকে ঋণ দেয়, তাকে রেপো রেট বলে। রেপো রেট কমানোর অর্থ সুদের হার কমাতে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলোকে উৎসাহিত করা। যাতে মানুষ আরও ঋণ নেয় ও বাজারে টাকার যোগান বাড়ে। এদিকে ব্যাঙ্কগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্কে টাকা জমা রাখলে যে পরিমাণ সুদ পায় তাকে রিভার্স রেপো রেট বলে। তা কমানোর অর্থ হল, রিজার্ভ ব্যাঙ্কে টাকা জমা রাখতে ব্যাঙ্কগুলোকে নিরুৎসাহিত করা। ব্যাঙ্কগুলি যাতে রক্ষণশীলতা ছেড়ে বাজারে আরও বেশি ঋণ দিতে উৎসাহী হয়।
জিডিপির অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের মতে, দেশের গড় অর্থনৈতিক বৃদ্ধি অর্থাৎ জিডিপির অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। আরবিআইয়ের গভর্নর জানিয়েছেন যে মূল জিডিপি প্রথম প্রান্তিকে খুবই প্রান্তিক অবস্থায় থাকবে। তিনি বলেন যে ২০২১-২২ সালেও জিডিপির অবস্থায় খুব বেশি পরিবর্তন আসবে না।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে
পাশাপাশি ভারতে যেভাবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় আরবিআই প্রধানকে। শক্তিকান্ত দাস বলেন, করোনার ফলে সারা বিশ্বেই অর্থনৈতিক গতি হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে, কোভিড -১৯ কে রুখতে যে লকডাউন করা হচ্ছে তার ফলেও ভারতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্রমশই কমে যাচ্ছে।