অপরিবর্তিত থাকছে রেপোরেট, অবাক করা সিদ্ধান্তে জানিয়ে দিল আরবিআই
অপরিবর্তিতই থাকল রেপো রেট। আরবিআই জানায় যে রেপোরেট থাকছে ৫.১৫ শতাংশই। রিভার্স রেপো রেট থাকছে ৪.৯০ শতাংশ। ব্যাঙ্করেট থাকছে ৫.৪০ শতাংশ। মনে করা হচ্ছিল চলতি আর্থিকবর্ষে ষষ্ঠবারের জন্য কমানো হতে পারে রেপো রেট। তবে সেই অনুমানকে ভুল প্রমাণ করে ও সবাইকে অবাক করে রেপোরেটে কোনও বদল হচ্ছে না বলে জানিয়ে নেদ আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান ছিল যে কমতে পারে রেপোরেট
বিশেষজ্ঞদের অনুমান ছিল যে দেশের ধীর গতির আর্থনীতিকে গতি প্রদান করতে এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে মনেটারি পলিসি কমিটি। বর্তমানে দেশের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৬২ শতাংশ। গত ১৫ মাসে এটি সর্বোচ্চ। তাই ব্যঙ্কিং ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা মনে করে যে ২৫ বেস পয়েন্ট পর্যন্ত রেপো রেট কমাতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। আজ যদি রেপোরেট কমানো হত তবে এই নিয়ে চলতি বছরে ষষ্ঠ বারের মতো কমানো হবে রেপোরেট। এখনও পর্যন্ত রেপোরেটের ক্ষেত্রে ১৩৫ পয়েন্ট কমানো হয়েছে চলতি আর্থিকবর্ষে।
দেশের অর্থনীতির ধীর গতি
নিম্নগামী গ্রাফ বজায় রাখে জিডিপি। চলতি অর্থবর্ষের জুলাই থেকে সেম্পটেম্বরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৫ শতাংশে। গত আর্থিক ত্রৈমাসিকে এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ শতাংশ। গত বছরে এই ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি হার ছিল ৭ শতাংশ। গত ছয় বছরে এটাই জিডিপি হারের নিরিখে সব থেকে কম বৃদ্ধি। পাশাপাশি জানা গিয়েছে প্রথম দুই ত্রৈমাসিকে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি ৭.২ লক্ষ কোটি টাকা। যা ইতিমধ্যে সরকারের পূর্ণ আর্থিক বর্ষের বাজেটের হিসাব ছাড়িয়ে গিয়েছে।
জিডিপির পূর্বাভাস প্রকাশ আরবিআই-এর
এদিকে রেপো রেট না কমানোর পাশাপাশি জিডিপির পূর্বাভাসের ক্ষেত্রেও আগের স্থান থেকে সরে এসেছে আরবিআই। প্রথমে আরবিআই জানিয়েছিল যে চলতি আর্থিকবর্ষে ভারতের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ হবে। তবে সেই পূর্বানুমান থেকে নেমে এসে আরবিআই জানায় দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ হবে। এর আগে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হারের পূর্বানুমানের ক্ষেত্রে ১.৫ শতাংশ হ্রাস হবে বলে রিপোর্ট পেশ করেছে বিভিন্ন রেটিং সংস্থাগুলি।
উর্ধ্বমুখী শেয়ার মার্কেট
রেপোরেট বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় আজ উর্ধ্বগামী হয় শেয়ার মার্কেট। বাজার খুলতেই ৮৪ পয়েন্ট বেড়ে যায় সেনসেক্স। শেয়ার বাজারের সূচক পৌঁছায় ৪০, ৯৩৪.৪৬ পয়েন্টে। নিফটিও বাড়ে ২১ পয়েন্ট। বুধবার শেয়ের মার্কেট বন্ধ হয়েছিল ৪০, ৮৩০ পয়েন্টে। আজ সকালে শেয়ার বাজারের উত্থানের ফলে বিপুল অর্থের বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। পাশাপাশি দেশীয় সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেও বিনিয়োগের হার ভালো ছিল।