লকডাউন নোটবন্দির মতোই বড় ভুলের পুনরাবৃত্তি, মোদীকে চিঠিতে জানালেন কমল হাসান
লকডাউন নোটবন্দির মতোই বড় ভুলের পুনরাবৃত্তি, মোদীকে চিঠিতে জানালেন কমল হাসান
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ যাতে না বাড়তে পারে তার জন্য ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর এই সিদ্ধান্ত যে ভুল তা খোলা চিঠি লিখে তাঁকে জানালেন অভিনেতা–চলচ্চিত্র নির্মাতা তথা রাজনৈতিকবিদ কমল হাসান।
লকডাউন নোটবন্দীর স্টাইলেই হঠাৎ ঘোষণা
মক্কল নিধি মায়াম রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা কমল হাসান তাঁর চিঠিতে মোদীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় স্যার, আমি এই চিঠিটি আমাদের দেশের একজন দায়িত্বশীল কিন্তু হতাশ নাগরিক হিসাবে লিখছি। ২৩ মার্চ আপনাকে লেখা আমার প্রথম চিঠিতে সরকারকে আর্জি জানিয়েছিলাম যে আমাদের সমাজের না দেখা বীরদের, সর্বাধিক হীন, দুর্বল এবং নির্ভরশীল যাঁরা তাঁদের দুর্দশার দিক থেকে যেন চোখ সরানো না হয়। কিন্তু তার পরের দিনই দেশে কড়া ও অবিলম্বে লকডাউনের ঘোষণা করা হয়, যা নোটবন্দীর স্টাইলেই ছিল। আমি হতাশ হয়েছিলাম কিন্তু আপনি আমার নির্বাচিত নেতা, আপনার ওপর আস্থা রয়েছে, আপনি সবচেয়ে ভালো জানেন। এমনকী নোটবন্দীর ঘোষণার সময়ও আমি আপনার ওপর আস্থা রাখতে চেয়েছিলাম কিন্তু সময় বুঝিয়ে দিল আমি ভুল। সময় এও বোঝালো যে
নোটবন্দী ভুলের পুনরাবৃত্তি
প্রধানমন্ত্রী মোদী জনগণের কাছ থেকে যে প্রশংসা পান তা অন্য কোনও বিশ্বনেতা পান না বলে জানান কমল হাসান। তিনি চিঠিতে বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় ভয় হচ্ছে নোটবন্দীর সময় যে ভুলটা হয়েছিল সেটা আবার বড় আকারে এই সময়ও হয়। নোটবন্দীর সময় গরীবদের জীবিকা ও সঞ্চয় সব হারিয়ে ফেলতে হয়েছিল, এই অপরিকল্পিত লকডাউন আমাদের জীবন ও জীবিকা উভয়েরই ক্ষতির সম্মোহনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। গরিবদের স্যার আপনি বাদে আর কেউ দেখার নেই।'
বারান্দায় তেলের প্রদীপ, আর সেই প্রদীপের তলায় অন্ধকার
কমল হাসান চিঠিতে আরও বলেন, ‘আপনি একদিকে অধিকতর সুবিধাযুক্ত লোককে আলোর ঝলক লাগাতে বলছেন অন্যদিকে দরিদ্র মানুষের দুর্দশা নিজেই লজ্জাজনক হয়ে উঠেছে। আপনার বিশ্ব যখন তাদের বারান্দাগুলিতে তেলের প্রদীপ জ্বালাচ্ছে, তখন দরিদ্ররা তাদের পরবর্তী রুটি ভাজার করার জন্য পর্যাপ্ত তেল সংগ্রহ করতে লড়াই করছে। জাতির উদ্দেশ্যে আপনার শেষ দুটি ভাষণ আপনি মানুষকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন যা এই পরীক্ষামূলক সময়ে প্রয়োজনীয় তবে এটির চেয়েও জরুরি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও রয়েছে।' এই দীর্ঘ চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর এই সময় কি করা উচিত এবং সমাজের প্রতি তাঁর কি কর্তব্য সেটাই লিখে জানিয়েছেন অভিনেতা। কমল হাসান সমাজের নীচুস্তরের মানুষদের দিকে সহায়তার হাত বাড়াতে বলেছেন মোদীকে। শেষের তিনি যদিও জানিয়েছেন যে এতকিছুর পরও তিনি প্রধানমন্ত্রীর পাশেই রয়েছেন।