মহারাষ্ট্রের পুনরাবৃত্তি হতে পারে বিহারে! সেই বুঝে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি, কংগ্রেস, আরজেডি
সামনেই বিহার বিধানসভার নির্বাচন। আর তাই নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে বৈঠক করল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে চলেছেন তেজস্বী যাদব। সেখানে কংগ্রেস মূলত সাপোর্টিং রোলে থাকবে।
ঘুঁটি সাজাচ্ছে কংগ্রেস
সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন অম্বিকা সোনি, এ কে অ্যান্টনি, অবিনাশ পান্ডে ও অন্য নেতারা। এছাড়াও ছিলেন বিহারে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শক্তি সিং গোহিল, বিহারের কংগ্রেস সভাপতি মদন মোহন ঝা, কংগ্রেস সাংসদ সদানন্দ সিং। চার ঘণ্টা ধরে চলে এই বৈঠক। জাতীয় দল হয়েও জোটে জুনিয়র পার্টনার হতে রাজি কংগ্রেস। তবে নিজেদের বিধায়কদের হাতে রাখতেও সচেষ্ট দল।
মহারাষ্ট্রের পুনরাবৃত্তি হলে কী করবে কংগ্রেস?
বিহারের বিধানসভা নির্বাচন হবে তিন দফায়। প্রথম দফা হবে ২৮ অক্টোবর। যে আসনগুলিতে কংগ্রেস লড়বে সেখানে প্রার্থীদের তালিকা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তাছাড়াও আরও একটি বিষয়ে এদিন আলোচনা হয়। তা হল, মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি যদি বিহারে উপনীত হয়, তবে দলের পরবর্তী পদক্ষে কী হবে। এবং সব সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই ঘুঁটি সাজিয়ে রাখতে চাইছে কংগ্রেস।
এলজেপির বিদায়ে কার লাভ?
এদিকে এনডিএ জোট থেকে এলজেপি বেরিয়ে যেতেই বিহারের রাজনৈতিক রণাঙ্গনে আরও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। নীতীশ কুমারের জেডিইউ-র সঙ্গে জোট বেঁধে গদি দখল করতে চাইছে বিজেপি। বিজেপি ও জেডিইউ-র মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে খসড়া প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। মোট আসনের অর্ধেক করে বণ্টিত হবে দুই দলের মধ্যে। ইতিমধ্যেই শোনা যাচ্ছে নির্বাচনে জেডিইউ-র বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে এলজেপি। যার জেরে ফায়দা হতে পারে বিজেপির। কারণ দেখা যেতে পারে যে নীতীশের থেকে হয়ত বেশি আসনে জিতেছে তারা।
কোমর কষছে বিজেপি
মহারাষ্ট্রের পুনরাবৃত্তি হলে তার জন্যে তৈরি থাকতে কোমর কষছে বিজেপি। এই বিষয়ে বৈঠক করেছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। নাড্ডার বাসভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিহারের বিজেপি ইন-চার্জ ভূপেন্দ্র যাদব, বিহারের নির্বাচন ইন-চার্জ দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, বিহারের বিজেপি সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল, সুশীল মোদিসহ অন্যরা।
ভোট কাটাকাটির সম্ভাবনা প্রবল
এদিকে বিহারে তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ১৪৪ টিতে। তাঁদের জোটশরিক কংগ্রেসকে দেওয়া হয়েছে ৭০ টি আসন। বাম দলগুলি লড়বে ২৯ আসনে। আরজেডির ১৪৪টি আসনের মধ্যে কয়েকটি ছেড়ে দেওয়া হবে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকে। এদিকে ভিআইপি দলের সঙ্গে আসন রফা সম্ভব হয়নি। তাই তারা মহাজোট থেকে বেরিয়ে এসেছে। যার জেরে আরও কিছু আসনে ভোট কাটাকাটির সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে।
ত্রিশঙ্কু ফলাফল হলে কংগ্রেসের বিধায়কদের নিয়ে ভয়
ত্রিশঙ্কু ফলাফল হলে কংগ্রেসের বিধায়করা নীতীশ-বিজেপির এনডিএ শিবিরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা আরজেডির শীর্ষ নেতৃত্বের। তাই বেশি সংখ্যক আসনে লড়তে চায় তেজস্বী যাদবরা। কারণ, এরকম ক্ষেত্রে দলের বিধায়করা অধিকাংশ সময়ে জোট ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছেন। এই কারণেই শরিকদের সঙ্গে বেশি আপসে যাবে না আরজেডি।
লাদাখ উত্তেজনার মাঝেই জিনপিংয়ের মুখোমুখি হবেন মোদী, সম্মেলনে আলোচনা হবে কী নিয়ে?