প্রয়াত কিংবদন্তি কত্থক গুরু পণ্ডিত বিরজু মহারাজ
প্রয়াত কিংবদন্তি কত্থক গুরু পণ্ডিত বিরজু মহারাজ
প্রয়াত কত্থক গুরু বিরজু মহারাজ। রবিবার রাতে দিল্লির বাড়িতে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। পরিবার সূত্রে খবর গতকাল রাতে নাতির সঙ্গে খেলছিলেন তিনি তখনই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকে দিল্লির সাকেত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বয়স জনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। বেশ কয়েকবার ডায়ালিসিসও হয়ছিল তাঁর। রবিবার রাতে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এক প্রকার চিকিৎসার সুযোগ টুকু দেননি। হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। ১৯৩৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি লখনউতে জন্মেছিলেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। আসল নাম ব্রিজমোহন মিশ্র। বাবার কাছেই প্রথম নৃত্য হাতে খড়ি। বাবা অচ্ছন মহারাজের কাছেই প্রম নাচ শিখতে শুরু করেছিলেন তিনি। তার দুই কাকা শম্ভু মহারাজ এবং লাচ্চু মহারাজও প্রখ্যাত কত্থক শিল্পী। বাড়িতেই নাচ গানের পরিবেশ ছিল। সেই থেকেই নাচের প্রতি নেশা তৈরি হয়। কত্থক ঘরানার বিশিষ্ট শিল্পী হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
১৯৮৩ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মান পান পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার ও কালীদাস সম্মানও পেয়েছেন তিনি। "বিশ্বরূপম" ছবিতে কোরিওগ্রাফির জন্য চলচ্চিত্রে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। এছাড়াও বলিউডের একাধিক ছবিতে ডান্স কোরিওগ্রাফ করেছিলেন পণ্ডিতজি। 'শতরঞ্জ কি খিলাড়ি' ছবিতে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। বলিউডে 'দেবদাস', 'বাজিরাও মাস্তানি', 'উমরাও জানেও ডান্স কোরিওগ্রাফ করেছিলেন তিনি। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অসুস্থতার কারণে কাজ করতে পারছিলেন না শিল্পী। রবিবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। তাঁর প্রয়াণে শিল্পী মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিশিষ্ট শিল্পীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে তিনি শিল্পীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।