বেঙ্গালুরু-মাইসুরুর মধ্যে চলাচলকারী টিপু সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের নাম পরিবর্তন! সমালোচনা বিভিন্ন মহলে
বিজেপি জমানায় শহরের নাম পরিবর্তনের পরে এবার ট্রেনের নাম পরিবর্তন। মহীশূরের বিজেপি সাংসদের দাবির প্রেক্ষিতে এই নাম পরিবর্তন করেছে রেল বোর্ড। শুক্রবার রেল বোর্ডের তরফে বেঙ্গালুরু ও মাইসুরুর মধ্যে চলাচলকারী টিপু সুপার
বিজেপি জমানায় শহরের নাম পরিবর্তনের পরে এবার ট্রেনের নাম পরিবর্তন। মহীশূরের বিজেপি সাংসদের দাবির প্রেক্ষিতে এই নাম পরিবর্তন করেছে রেল বোর্ড। শুক্রবার রেল বোর্ডের তরফে বেঙ্গালুরু ও মাইসুরুর মধ্যে চলাচলকারী টিপু সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের নাম পরিবর্তন করে ওডেয়ার এক্সপ্রেস রাখার কথা জানানো হয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়ে সমালোচনা।
|
স্থানীয় সংসদ দাবি করেছিলেন রেলমন্ত্রীর কাছে
মহীশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা টুইটারের ট্রেনের নাম বদলের খবর শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি এই বছরের জুলাইয়ে ট্রেনের নাম পরিবর্তন নিয়ে রেলমন্ত্রীকে লেখা চিঠির কথা উল্লেখ করেছেন। সেই চিঠিতে তিনি বলেছিলেন, শুধু রেলের উন্নয়নের জন্য নয়, ওয়াডেয়ার রাজবংশের অবদানের কথা বিবেচনা করে ট্রেনের নাম পরিবর্তন করা উচিত। তাঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষের মধ্যে ট্রেনের নতুন নামকরণের জন্য দাবি রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ। তার আগে অবশ্য প্রতাপ সিমহা গত ফেব্রুয়ারিতে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এব্যাপারে অনুরোধ করেছিলেন।
কম সময় লাগার কারণে জনপ্রিয়
অন্য এক্সপ্রেসের তুলনায় কম সময় লাগার কারণে টিপু সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের জনপ্রিয়তা রয়েছে। যাত্রীদের তরফে জানানো হয়েছে, রেল লাইনটি যখন মিটারগেজ ছিল, তখন টিপু এক্সপ্রেস যমজ শহরকে যুক্ত করেছিল। টিপু এক্সপ্রেস স্টপেজ দেয় মান্ডা এবং কেনগিরিতে। টিপু সুপার ফাস্ট ট্রেনে যেখানে গন্তব্যে পৌঁছতে সময় লাগে আড়াই ঘন্টার মতা। সেখানে অন্য এক্সপ্রেস টেনে তিন ঘন্টার বেশি সময় লাগে।
|
নতুন নামকরণ মানতে পারছেন না অনেকেই
তবে বিজেপি সাংসদের দাবি আর রেলবোর্ডর ট্রেনের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। বিষয়টিতে অপ্রয়োজনীয় রাজনীতিও বলছেন কেউ কেউ। একটি জনপ্রিয় ট্রেনের নাম পরিবর্তন না করে, আরেকটি নতুন ট্রেন চালু করে, তার নাম ওয়াডেয়ারদের নামে করা যেত বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। ট্রেনের নাম পরিবর্তন করে সাধারণ জনগণের কোনও সুবিধা হবে না, বলছেন নাম পরিবর্তনের সমালোচকরা। তাঁরা বলছেন, স্থানীয় সাংবদের উচিত ছিল জনগণের চাহিগা বুঝে, ব্যস্ত সময়ে আরেকটি ট্রেনের জন্য দাবি করা, যেখানে এই নতুন নাম দেওয়া যেতে পারত।
|
সিদ্ধান্তের সমালোচনায় রেলকর্মীরাও
সাধারণ
মানুষই
শুধু
নন,
রেলকর্মীদের
একাংশও
জনপ্রিয়
ট্রেনের
এই
নাম
পরিবর্তনের
বিরোধিতা
করেছেন।
বিষয়টিতে
অপ্রয়োজনীয়
বলেও
বর্ণনা
করেছেন
তাঁরা।
তাঁদের
প্রশ্ন
কেন
দুই
ঐতিহাসিক
ব্যক্তিকে
একে
অপরের
বিরুদ্ধে
দাঁড়
করানো
হবে।
রেলকর্মীরা
বলছেন,
সাংসদ
উচিত
ছিল,
ট্রেনের
গতি
বাড়াতে,
ট্রেনের
পরিষেবা
আরও
ভাল
করতে
যাবতীয়
ব্যবস্থাগ্রহণের
দাবি
করা।
তবে
বলে
রাখা
ভাল
শুক্রবার
কর্নাটকে
চলাচলকারী
শুধু
একটি
ট্রেনের
নাম
পরিবর্তন
করা
হয়নি,
আরও
একটি
ট্রেন
তালগুপ্পা-মাইসুরু
এক্সপ্রেসের
নতুন
নাম
দেওয়া
হয়েছে
কুভেম্পু
এক্সপ্রেস।
কলকাতা কার্নিভালে বৃষ্টি হবে কি? লক্ষ্মীপুজোয় বাংলার আবহাওয়াও বা কী! একনজরে পূর্বাভাস