এলাহাবাদ হাইকোর্টে বড় ধাক্কা যোগীর, CAA বিরোধীদের নামে হোর্ডিং খোলার নির্দেশ
এলাহাবাদ হাইকোর্টে বড় ধাক্কা যোগীর, CAA বিরোধীদের নামে হোর্ডিং খোলার নির্দেশ
হোর্ডিং মামলায় বড় ধাক্কা যোগী সরকারের। সিএএ বিরোধীদর নামে দেওয়া হোর্ডিং অবিলম্বে খুলে ফেলার নির্দেশ দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। লখনউয়ের জেলা শাসক এবং পুলিস কমিশনারকে সিএএ বিরোধীদের নাম এবং ঠিকানা লেখা হোর্ডিং সরিয়ে নিতে বলেছেন বিচারপতি। যোগী সরকারকেও এই ধরনের কাজ না করার কড়া বার্তা দিয়েছে আদালত।
হোর্ডিং সরানোর নির্দেশ
সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের নাম ও ঠিকানা দেওয়া হোর্ডিং শহরের সব জায়গা থেকে সরিয়ে নেওয়া নির্দেশ দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সরকারের বিপক্ষেই যে মামলা যাবে তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি।গতকাল মামলার জরুরি শুনানি খারিজ করে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন সোমবার শুনানির আগে সরকার আগের নির্দেশ কার্যকর করবেন। কারণ কোন আইনে যোগী সরকার এই হোর্ডিং দিয়েছে সেটা আদালতে পরিষ্কার করে জানাতে পারেনি। তারপরেই সোমবার নির্ধারিত সময়ে শুনানি শুরু হলে সিএএ বিরোধীদের নাম ঠিকানা এবং ছবি দেওয়া হোর্ডিং শহরের সব রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। অবিলম্বে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে লখনউয়ের পুলিশ কমিশনার এবং জেলা শাসককে।
সিএএ বিরোধীদের নামে হোর্ডিং
লখনউয়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই ক্ষতিপূরণের টাকা সিএএ আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে আদায় করার িসদ্ধান্ত নেয় যোগী সরকার। তারপরেই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে লখনউ শহরের বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের ছবি, নাম এবং ঠিকানা দিয়ে হোর্ডিং দেওয়া হয়। বাড়ি বাড়ি এই নিয়ে সমনও পাঠিয়েছে যোগী সরকার। টাকা দিতে না পারলে অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তার পরেই এই প্রতিবাদে আদালতের দ্বারস্থ হন অভিযুক্তরা।
হোর্ডিং তরজা তুঙ্গে
লখনউ শহরের একাধিক রাস্তায় এই ধরনের হোর্ডিং পড়ার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছিল বাসিন্দাদের মধ্যে। যোগী সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন বিরোধীরাও। আদালতও সরকারের এই কাজকে সমর্থন করেনি। এমনই আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী এই কাজের সপক্ষে কোনও যুক্তি দেখাতে পারেনি। তাই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতিরাও।