কালো ছত্রাকের করাল থাবা আটকাতে ভরসা এই ওষুধেই! দিল্লিতে শুরু হাহাকার, ঘাটতি একাধিক রাজ্যে
কালো ছত্রাকের করাল থাবা আটকাতে ভরসা এই ওষুধেই! দিল্লিতে শুরু হাহাকার, ঘাটতি একাধিক রাজ্যে
একে করোনায় রক্ষা নেই সঙ্গে দোসর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। আর এই কৃষ্ণ ছত্রাকের আতমকা হানাতেই দেশজুড়ে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত বুধবার পর্যন্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৫০০ জন। মারা গিয়েছেন ১২৬ জন। প্রকোপ ছড়িয়েছে একাধিক রাজ্যে। এদিকে এই রোগের চিকিৎসায় এখনও পর্যন্ত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ওষুধ লাইপোসোমাল অ্যামফোটারিকিন বি-কেই সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
কৃষ্ণ ছত্রাকের করাল থাবা আটকাতে ভরসা 'অ্যাম্ফোটেরিসিন বি'
কিন্তু ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের থাবা চাওড়া হতেই দিল্লি সহ একাধিক জায়গায় দেখা দিয়েছে এই ওষুধের ব্যাপক ঘাটতি। এই ওষুধের চাহিদা গত কয়েক সপ্তাহে প্রবল বেড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যা খোলা বাজারে 'অ্যাম্ফোটেরিসিন বি' (Amphotericin B) নামেই সাধারণত পরিচিত। বর্তমামে এই ওষুধ নিয়েই হাহাকার পড়ে গিয়েছে বললে ভুল বলা হবে না। ভাঁড়ারে টান পড়ায় আতঙ্কে প্রহর গুনছে দিল্লির একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল।
তুঙ্গে চাহিদা
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক বলেন, " আজ আমাদের কাছে এই ওষুধ রয়েছে, কিন্তু কাল থাকবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না।" এদিকে যাঁরা মিউকরমাইকোসিস বা কৃষ্ণ ছত্রাকের কবলে পড়েছেন এবং যাঁরা সেরে উঠেছেন, দুই ধরনের রোগের চিকিৎয়াতেই লাগে এই ওষুধ। তাই চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে।
শুরু হয়ে গিয়েছে কালোবাজারি
তবে এই জীবনদায়ী ওষুধের দাম রয়েছে ৪,৫০০ টাকা থেকে ১২,০০০ টাকার মধ্যে। নির্ভর করছে কোন সংস্থার ওষুধ, তার ওপর। তবে সঙ্কটকালের সুযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক অসাধু ব্যবসায়ী কালোবাজারীও শুরু করে দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। একইসঙ্গে লাইপোসোমাল অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ইঞ্জেকশনের চাহিদাও আগের থেকে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
৩টি পৃথক হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা দিল্লিতে
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রেই এই রোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে মারা গিয়েছেন ৫২ জন। মহারাষ্ট্রের প্রতিবেশী রাজ্য গুজরাতে এখনও পর্যন্ত ৪০ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, এমতাবস্থায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে তিনটি হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের পৃথক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চলেছে দিল্লি সরকার।