করোনা আবহেই এবার মহারাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন! সবুজ সংকেত নির্বাচন কমিশনের
করোনা আবহেই পদত্যাগ করতে হতে পারে, এই আশঙ্কা উপনীত হতেই মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। উদ্ধব ঠাকরে যখন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেছিলেন, সেই সময় তিনি নির্বাচিত জন প্রতিনিধি ছিলেন না। গদিতে বসার এত মাস পরেও তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে উঠতে পারেননি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেন উদ্ধব। আর এরপরই মেলে স্বস্তি।
এনসিপি-কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলান উদ্ধব
২০১৯ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হওয়া মহারাষ্ট্র নির্বাচন। সেই নির্বাচনে উদ্ধব ঠাকরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তাঁর দল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়। পরে বিজেপির সঙ্গে তিন দশকের জুটি ভেঙে বেরিয়ে আসে তারা। কংগ্রেস ও শরদ পাওয়ারের এনসিপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে গঠন করে সরকার।
উদ্ধবের মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে জটিলতা
এদিকে মন্ত্রী হতে গেলে বিধানসভার সদস্য হতে হবে দায়িত্বগ্রহণের ছ'মাসের মধ্যে। উদ্ধব ঠাকরের ছ'মাসের সেই সময় শেষ হচ্ছে আগামী ২৮ মে। শাসক জোটের সিদ্ধান্ত ছিল উদ্ধব উচ্চ কক্ষে যোগ দেবেন এপ্রিলের নির্বাচনে জিতে। কিন্তু লকডাউনের ফলে নির্বাচনের সময় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তাই রাজ্যপালের দ্বারা আইন পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন চান উদ্ধব। তবে তা দিতে অস্বীকার করেন রাজ্যপাল।
মোদীকে ফোন করেন উদ্ধব
এরপর মোদীকে ফোন করেন উদ্ধব। মোদীকে ফোন করার পরেই রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনের কাছে বিধানসভা কাউন্সিলের ভোট করানোর দিনক্ষণ ঘোষণার অনুরোধ জানান। আর এরপরই এদিন এই নির্বাচনের জন্য সবুজ সংকেত দেয় নির্বাচন কমিশন।
আইন পরিষদের ৯টি আসনের জন্য নির্বাচন হবে মহারাষ্ট্রে
রাজ্যের ৯টি বিধানসভা কাউন্সিলের আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এই ৯টি বিধানসভা কাউন্সিলে অবিলম্বে নির্বাচন করানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনেই নির্বাচন করানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। আর এরপর সেই মতো নির্বাচন হবে বলে জানিয়ে দেয় কমিশন।
করোনায় জেরবার মহারাষ্ট্র
ভারতের করোনা সংক্রামিত রাজ্য গুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্রে। প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমসিম অবস্থা উদ্ধব প্রশাসনের। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের দুই পুলিশকর্মীও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও উদ্ধব সেখানে থাকেন না বলে বিপদ কম। তবে সেখানে যাবতীয় বৈঠক করেন তিনি।