মার্কিন সংস্থা ভিস্তা ইক্যুইটির কাছে জিও-র ১১,৩৬৭ কোটির শেয়ার বিক্রি রিলায়েন্সের
মার্কিন সংস্থা ভিস্তা ইক্যুইটির কাছে জিও-র ১১,৩৬৭ কোটির শেয়ার বিক্রি রিলায়েন্সের
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মার্কিন ইক্যুইটি সংস্থা ভিস্তা ইক্যুইটি পার্টনার্সের কাছে জিও-র ২.৩২% শেয়ার বিক্রি করতে চলেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড বা আরআইএল। সূত্রের খবর, এর বাজার দর প্রায় ১১,৩৬৭ কোটি টাকা। মাত্র দু'সপ্তাহের মধ্যে আরআইএলের জিও-র তৃতীয় শেয়ার বিক্রয় করতে চলেছে। কিছুদিন আগে সিলভার লেকের সাথেও তাদের শেয়ার লেনদেন করে রিলায়েন্স।
তিন সপ্তাহে প্রায় ৬০০০০ কোটির লেনদেন
এই নতুন আর্থিক সংযোগ গুলির পরে জিওর প্ল্যাটফর্মগুলিতে আন্তর্জাতিক মানের সফটওয়ার সংক্রান্ত বদল আসতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই বিনিয়োগ জিও প্ল্যাটফর্মগুলিতে ৪.৯১ লক্ষ কোটি টাকার ইক্যুইটি মূল্যে এবং ৫.১৬ লক্ষ কোটি টাকা এন্টারপ্রাইজ মূল্যে ১২.৫ শতাংশ প্রিমিয়াম যুক্ত ফেসবুকের বিনিয়োগের সাথে। রিলায়েন্স জিও-র ৮ই মের বিবৃতি অনুযায়ী, গত তিনসপ্তাহের মধ্যে রিলায়েন্স জিও ৬০,৫৯৬.৩৭ কোটি টাকার বিনিয়োগ গ্রহণ করেছে।
জিওর সর্বাধিক উন্নতি
এদিকে মার্কিন ইক্যুইটি সংস্থা ভিস্তার গত ১০ বছরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনোরকম আর্থিক লোকসানের খবর নেই। ভারতে তাদের প্রথম বিনিয়োগ জিওতে হওয়ায় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, করোনা সঙ্কটের মাঝেও রিলায়েন্স জিওর এই অপরাজেয় যাত্রা বিদেশি লগ্নিকারীদের আরও আকর্ষণ করবে এবং ভারতীয় অর্থনীতিতে ভালো সময় ফিরিয়ে আনবে। ভিস্তার বিনিয়োগের ফলে ভারতীয় প্রযুক্তির বাজারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লকচেইন, এআর/ভিআর এবং সর্বোপরি ফাইভ-জির পথ সুগম হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই বিষয়ে মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন, "ভারতীয় ডিজিটাল অর্থনীতির স্বার্থে ভিস্তা ও জিওর গাঁটছড়া উন্নতির পথ দেখাবে। ভিস্তার বিশ্বাস, আধুনিকতম প্রযুক্তির সাহায্যেই সমাজে বদল সম্ভব এবং এই যুক্তিতে সম্পূর্ণ সহমত জিও।"
জিওর ছাতার তলায় ভিন্ন ভিন্ন প্রযুক্তির সম্মেলন
ভিস্তার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সচিব রবার্ট এফ স্মিথ জানিয়েছেন, "জিওর নেতৃত্বে ভারতের ডিজিটাল সমাজ খুবই সম্ভাবনাময়। তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে মুকেশের জিও-টিম বড়সড় বিপ্লব আনতে পারে। এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল সমাজের সার্বিক উন্নয়নে সামিল হতে পেরে আমরা আনন্দিত।" প্রযুক্তি বিশারদদের মতে, এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার, দ্রুত তথ্যের আদানপ্রদান, উন্নততর প্রযুক্তির ব্যবহারে জিওর একটি ছাতার তলায় গড়ে উঠছে ভারতের ডিজিটাল ভবিষ্যতের ব্লু-প্রিন্ট।
কী ভাবে হলো জিও-ভিস্তা চুক্তি ?
২০০০ সালে মার্কিন বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী রবার্ট এফ স্মিথ ও ব্রায়ান স্মিথ গড়ে তোলেন বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সর্ববৃহৎ ইক্যুইটি সংস্থা 'ভিস্তা ইক্যুইটি পার্টনার্স'। এই সংস্থা মূলত বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে লগ্নির পাশাপাশি তথ্যের আদানপ্রদান ও এন্টারপ্রাইজ সফ্টওয়্যার নিয়ে কাজ করে। বিশ্বের বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় প্রায় প্রায় ৫২০০ কোটি বিনিয়োগ করে ভিস্তা এইমুহূর্তে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইক্যুইটি ফান্ড। সূত্রের খবর, জিও ও ভিস্তার এই চুক্তির সময়ে আর্থিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে সহায়তা করেন মর্গ্যান স্ট্যানলি এবং আইনি বিশেষজ্ঞ হিসাবে ছিলেন ডেভিস পোল্ক ও ওয়ার্ডওয়েল। পাশাপাশি কিরকল্যান্ড অ্যান্ড এলিস এলএলপি ও শারদুল অমরচাঁদ মঙ্গলদাস অ্যান্ড কো, এই দুই সংস্থা ভিস্তাকে আইনি পরামর্শ প্রদান করে।
জঙ্গিদের টুইটারেও 'ফলো' করছেন ইমরান খান! চাঞ্চল্যকর তথ্যে পাকিস্তানের মুখোশ ফের খুলল