বিতর্ক কাটাতে উদ্যোগ! তৈরি না হওয়া জিও ইনস্টিটিউটের আচার্য-উপাচার্যের নাম প্রকাশ্যে
বিজ্ঞানী আরএ মাশেলকরকে প্রস্তাবিত জিও ইনস্টিটিউটের আচার্যের পদে নিয়োগ করা হয়েছে। উপাচার্যের পদে নিয়োগ করা হয়েছে দীপক জৈনকে।
বিজ্ঞানী আরএ মাশেলকরকে প্রস্তাবিত জিও ইনস্টিটিউটের আচার্যের পদে নিয়োগ করা হয়েছে। উপাচার্যের পদে নিয়োগ করা হয়েছে দীপক জৈনকে। দিন কয়েক আগে তৈরি না হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের জিও ইনস্টিটিউটকে উৎকর্ষের শিরোপা দেওয়া নিয়ে বিতর্ক চরমে। কেন্দ্রের তরফে সাফাই দেওয়া হয় , বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করেই প্রস্তাবিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে উৎকর্ষের শিরোপা দেওয়া হয়েছে।
২০১৬-তে এনডিও-টু সরকার বিজ্ঞানী আরএ মাশেলকরকে ন্যাশনাল রিসার্চ প্রফেসরের মর্যাদা দিয়েছিল। বর্তমানে তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাইন্ডেশনের প্রধান পদে রয়েছেন। এহেন ব্যক্তিকেই প্রস্তাবিত জিও ইনস্টিটিউটের আচার্যের পদে নিয়োগ করার কথা জানানো হয়েছে। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করা বিজ্ঞানী আরএ মাশেলকর ১৯৯৫-২০০৬ সাল সিএসআইআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল পদে ছিলেন। এছাড়াও ১৯৮৮-৯০ এবং ২০০৪-১৪ প্রধানমন্ত্রীর সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইসরি কাউন্সিলের সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন। সিএসআইআর থেকে অবসর নেওয়ার পরে তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজে যোগ দেন ২০০৭ সালে।
উপাচার্য
হিসেবে
নিয়োগ
হওয়া
দীপক
সি
জৈন
ব্যাঙ্ককের
সাসিন
গ্র্যাজুয়েট
ইনস্টিটিউট
অফ
বিজনেস
অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের
ডিরেক্টর
ছিলেন।
বিজ্ঞানী
আরএ
মাশেলকর
এবং
দীপক
সি
জৈন
দুজনেই
রিলায়েন্স
ইন্ডাস্ট্রিজের
বোর্ড
সদস্য।
আগামী
তিন
বছরে
তাঁরাই
জিও
ইনস্টিটিউট
গড়ে
তুলে
প্রধান
ভূমিকা
নেবেন
বলে
জানা
গিয়েছে।
এমপাওয়ার্ড
এক্সপার্ট
কমিটিতে
বিষয়টি
নিয়ে
আগেই
জানিয়েছিলেন
রিলায়েন্স
ইন্ডাস্ট্রিজের
চেয়ারম্যান
মুকেশ
অম্বানি।
এমপাওয়ার্ড
এক্সপার্ট
কমিটির
প্রধান
পদে
রয়েছেন
প্রাক্তন
মুখ্য
নির্বাচন
কমিশনার
এন
গোপালস্বামী।
মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছিলেন দেশের তিনটি সরকারি এবং তিনটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উৎকর্ষের শিরোপা দেওয়া হয়েছে। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে আইআইটি দিল্লি ও মুম্বই, আইআইএস বেঙ্গালুরু। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে, বিটস পিলানি, মনিপাল এবং রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের জিও ইনস্টিটিউট।
শেষের নামটি নিয়েই বিতর্ক চরমে ওঠে। কেননা গতবছরে কেন্দ্রে প্রকাশিত জাতীয় তালিকায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির যেমন স্থান ছিল না, ঠিক তেমনই সার্চ ইঞ্জিন গুগলেও খুঁজে পাওয়া যায়নি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে।
সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যা সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে। প্রশ্ন করেন রাজনৈতিক নেতারাও।
মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, গ্রিন ফিল্ড শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। নতুন কিংবা প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠান, যেগুলি কাজ শুরু করবে সেগুলিকে এই গ্রিনফিল্ড প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রাখা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য পর্যাপ্ত জমি, অর্থের যোগান, প্রতিষ্ঠান নিয়ে স্বচ্ছ ধারনার ওপর ভিত্তি করে গ্রিন ফিল্ড শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিচার করা হয়।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের জিও ইনস্টিটিউট সম্পর্কে যে তথ্য জামা দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ৯৫০০ কোটি টাকা খরচ করে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে নবি মুম্বইয়ের কাছে কারজাতে। ৮০০ একর জমিতে গড়ে উঠবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানে একটি পুরোপুরি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে এটিকে। ১০ টি স্কুলে ৫০ টি বিষয় পড়ানো হবে। যার মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল সায়েন্স, স্পোর্টসের মতো বিষয়ও। বিশ্বের ৫০০ টি সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাকাল্টিদের আনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ২০১৭-র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ১০ টি সরকারি এবং ১০ টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উৎকর্ষের শিরোপা দেওয়া হবে। যার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে আবেদন করতে হবে। আবেদন যাচাই করার জন্য কমিটিও গড়ে দেওয়া হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বিচারের রূপরেখাও ঠিক করে দেওয়া হয়।
নির্বাচিত ১০ টি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে স্বশাসন দেওয়া হবে। পাশাপাশি তাদেরকে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রক থেকে ১০০০ কোটি টাকা সাহায্য দেওয়া হবে। তবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে কোনও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে না।