ভ্যাকসিনের সঙ্কটের মধ্যেও স্বস্তির খবর, এক ধাক্কায় কমল কোভিশিল্ডের দাম
দেশজুড়ে করোনার ভ্যাকসিনের সঙ্কট। বাংলাতেও সেই ছবি স্পষ্ট। সেভাবে মিলছে না করোনার ভ্যাকসিন। বাংলাতে করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্যে মধ্যরাত থেকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, হাসপাতালে ভিড় জমাতে থাকেন সাধারণ মানুষ। তাতেও মিলছে
ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। অবশেষে নড়েচড়ে বসল ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টটিউট অফ ইন্ডিয়া।
বুধবার তারা ঘোষণা করল যে, রাজ্যগুলির জন্য ভ্যাকসিনের দাম ৪০০ টাকার বদলে ৩০০ টাকা করা হচ্ছে। অর্থাৎ ডোজপিছু কোভিশিল্ডের দাম ১০০ টাকা কমানোর কথা জানাল এই সংস্থা।
তবে বেসরকারি হাসপাতালের জন্য দাম কমানোর বিষয়ে সেরামের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বুধবার বিকেলে টুইট করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান সেরামের সিইও আদর পুনাওয়ালা।
তিনি লেখেন, 'সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের স্বার্থে আমি ডোজপিছু কোভিশিল্ডের দাম ৪০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা করছি। যা আজ থেকেই কার্যকরী হবে। তার ফলে আগামিদিনে রাজ্যগুলির কয়েক হাজার কোটি টাকা বেঁচে যাবে।
যা আরও টিকাকরণের কাজে সুবিধা করে দেবে আর তাতে বহু মানুষের জীবন বাঁচিয়ে তুলবে।' অন্যান্য দেশের তুলনায় রাজ্য সরকারকে বেশি দামে ভ্যাকসিন বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল সেরামের বিরুদ্ধে। সেরাম জানিয়েছিল, সীমিত সংখ্যক ভ্যাকসিনই বেসরকারি হাসপাতাল ও খোলা বাজারে আনছে তারা।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারকে ১৫০ টাকাতেই ভ্যাকসিন দেবে সেরাম ইনস্টিটিউট। যা করোনা প্রতিরোধের অন্যান্য সরঞ্জামের থেকে সস্তা। তবে টিকার দামের এই বৈষম্যের ইস্যু গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।
টিকার দামে এই তারতম্য কেন, তা জানতে কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব তলব করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, দেশে বর্তমানে জাতীয় বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই কঠিন সময়ে রাজনীতি দূরে সরিয়ে রেখে একে অন্যের পাশে দাঁড়ানো উচিত।
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই মুহূর্তে মানুষের জীবন বাঁচানোই আদালতের অগ্রাধিকার। আদালত প্রয়োজন মনে করলেই হস্তক্ষেপ করবে।
পাশাপাশি দুই করোনা টিকার দামের বিভিন্নতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। কেন কেন্দ্র, রাজ্য এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য ভ্যাকসিনের দাম আলাদা? তা জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট।