লাল পিঁপড়ের চাটনিতে কমবে করোনা! শীঘ্রই আয়ু্ষ মন্ত্রকের অনুমোদন পেতে চলেছে মোক্ষম টোটকা
অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে মোদী সরকার। ভ্যাকসিনের ড্রাইরাস আজ থেকে গোটা দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে আবার করোনার চিকিৎসায় লাল পিঁপড়ের চাটনির মোক্ষম টোটকা পেয়ে গিয়েছে আয়ুষ মন্ত্রক। শীঘ্রই করোনা চিকিৎসায় আয়ুষ মন্ত্রক লাল পিঁপড়ের চাটনি ব্যবহারের অনুমোদন দিতে চলেছে। ওড়িশা হাইকোর্ট তিন মাসে মধ্যে আয়ুষ মন্ত্রক ও কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চকে অনুমোদন দিতে চলেছে।

করোনা চিকিৎসায় লাল পিঁপড়ের চাটনি
করোনা চিকিৎসায় নাকি মোক্ষম কাজ করবে লাল পিঁপড়ের চাটনি। এমনই মনে করা হচ্ছে। এই নিয়ে ওড়িশা হাইকোর্টে আবেদনও জানানো হয়েছিল। তার পরেই ওড়িশা হাইকোর্ট আয়ুষ মন্ত্রক ও সেন্টার অব সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চকে লাল পিঁপড়ের চাটনি নিয়ে তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে। অর্থাৎ করোনা চিকিৎসায় লাল পিঁপড়ের চাটনি ব্যবহার করা হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে।

লাল পিঁপড়ের চাটনি
সাধারণত ওড়িশা, ছত্তিশগড়ের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় লাল পিঁপড়ের চাটনি ব্যবহার করা হয় ফ্লুয়ের চিকিৎসায়। ফ্লুয়ে আক্রান্ত রোগীকে লাল পিঁপড়ের চাটনির স্যুপ খাওয়ানো হয়। বিশেষ এক ধরনের পিঁপড়ে আর লঙ্কা দিয়ে তৈরি করা হয় এই চাটনি। ফ্লু কমানোর মোক্ষম টোটকা হিসেবে ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের আদিবাসীরা এর ব্যবহার করে থাকেন। ওড়িশার বারিপদার এক ইঞ্জিনিয়ার নয়াধর পধিয়াল প্রথম করোনা চিকিৎসায় এই লাল পিঁপড়ের চাটনি ব্যবহােরর কথা বলেন। এবং এই নিয়ে আদালতে আবেদন জানান। জুন মাসে হাইকোর্টে এই আবেদন জানিয়েছিলেন ওই ইঞ্জিনিয়ার।

কী আছে এই চাটনিতে
লাল পিঁপড়ের চাটনিতে একাধিক ভিটামিন রয়েছে বলে দাবি করা হয়। তাতে রয়েছে ফরমিক অ্যাসিড, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ১২, জিঙ্ক ও আয়রন। যা শরীরে রোগ প্রতিরোধক শক্তি বাড়িয়ে দেয়। ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, বিহার, ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, হিমাচল প্রদেশ, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা মেঘালয়ের আদিবাসীরা একাধির রোগ নিরাময়ে এই লাল পিঁপড়ের চাটনি ব্যবহার করে থাকেন। করোনার মতো ভাইরাস নিধনে এই টোটকা কাজে লাগতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে।

ভ্যাকসিনের অনুমোদন
বছরের প্রথম দিনেই অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে মোদী সরকার। ড্রাগ কন্ট্রোলারের বিশেষজ্ঞ কমিটি গতকাল কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন দেয়। সিরাম ইনস্টিটিউটেকর পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছিল ছাড়পত্রের জন্য। আজ থেকেই গোটা দেশে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাইরান শুরু হচ্ছে। গোটা বিশ্ব নতুন আশার আলো দেখছে।