আপাতত রেড অ্যালার্ট উঠল কেরলে! ত্রাণে ঝাঁপালেন বিচারপতি-আইনজীবীরা
বন্যা বিধ্বস্ত কেরলের অবস্থা এদিন তুলনামূলক ভাল। জেলাগুলি থেকে রেড অ্যালার্ট তুলে নেওয়া হয়েছে। দিল্লি-সহ সারা দেশেই চলছে কেরলের জন্য ত্রাণ সংগ্রহের কাজ। দিল্লিতে থাকা কেরলের আইনজীবীরা ত্রাণ সংগ্রহের কাজ চালাচ্ছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যক্তিগতভাবে কেরলের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এককোটি টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী সোমবার থেকে কেরলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা নেই। ফলে সব জায়গা থেকেই তুলে নেওয়া হয়েছে রেড অ্যালার্ট।
কেরলের কৃষিমন্ত্রী ভিএস সুনীল কুমার জানিয়েছেন, বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। কেরলের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী ৫০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, পরিস্থিতির মোকাবিলায় এখনই দরকার ২ হাজার কোটি টাকা। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কেরলের বন্যাকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণার দাবি করেছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ১৫০ টি জল পরিশোধনের যন্ত্র পাঠানো হয়েছে। যার প্রত্যেকটির ক্ষমতা একলক্ষ লিটার। সোমবার ট্রেনে এই এইসব যন্ত্র রাজ্যে পৌঁছে যাবে বলে এনডিএমএ জানিয়েছে।
বন্যায় কেরলের আলাপ্পুজার চেঙ্গানুরে প্রায় ৫ হাজার মানুষ আটকে পড়ে রয়েছেন। তাঁদের এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
কোচিতে নৌবাহিনীর ব্যবহারের জন্য থাকা আইএনএস গারুদাকে সোমবার থেকে সাধারণ বিমান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এদিন রাজ্যের রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের তরফে কেরলের ত্রাণকার্যের জন্য ১০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যক্তিগতভাবে কেরলের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এককোটি টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাঁর আইনজীবী ছেলে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন কেরলের বন্যায় ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
দিল্লির
আইনজীবীদের
একাংশ
কেরলের
বন্যা
দুর্গতদের
সাহায্যের
জন্য
সুপ্রিম
কোর্টে
সামনে
ত্রাণ
সংগ্রহ
অভিযান
শুরু
করেছেন।
ত্রাণকার্যে
কেরলের
মানুষের
পাশে
দাঁড়িয়েছেন
সুপ্রিম
কোর্টের
বিচারপতি
কুরিয়েন
জোসেফ,
বিচারপতি
কেএম
জোসেফ।