আলিগড়ে জারি লাল সতর্কতা, সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ রুখতে মোতায়েন ১৪ কোম্পানি আধাসেনা
উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে জারি করা করা হল লাল সতর্কতা। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে চলতে থাকা বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাঝেই আজ শুক্রবার, জুম্মার নামাজ উপলক্ষে লোক সমাগম হবে সেই সহরে।
উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে জারি করা করা হল লাল সতর্কতা। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে চলতে থাকা বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাঝেই আজ শুক্রবার, জুম্মার নামাজ উপলক্ষে লোক সমাগম হবে সেই সহরে। এদিকে নামাজে আগতদের কোনও ভাবে হিংসা ছড়ানোর জন্যে যাতে উস্কানির না দিতে পারে, তার উপরও নজর রয়েছে প্রশাসনের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতিমধ্যেই আলিগড়ে মোতায়েন করা হয়েছে ১৪ কোম্পানি আধা সেনা। এদিকে লাগাতার পঞ্চম দিন সেখানে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা।
মোতায়েন ১৪ কোম্পানি আধা সেনা
এই বিষয়ে জেলাশাসক চন্দ্র ভূষণ সিং জানিয়েছেন, এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে ও হিংসা রুখতে আলিগড় জুড়ে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এখানে ১০ কোম্পানি প্রভিনশিয়াল আর্মড কনস্ট্যাবুলারির জওয়ান ও ৪ কোম্পানি র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে। সর্কতামূলকভাবেই এই জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
কী হয়েছিল আলিগড়ে ?
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রতিবাদের রেশ সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো আছড়ে পড়েছিল আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হয় প্রতিবাদ৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ছাত্রদের লক্ষ্য করে পুলিশের লাঠি চার্জ করে। টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়৷ এরপরই পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতে শুরু করেন পড়ুয়ারা৷ ক্যাম্পাসের প্রতিটি গেট আটকায় পুলিশ৷ পরিস্থিতি সামলাতে ফের লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোড়া হয়। অভিযোগ, পুলিশের সেই হামলাতে জখম হন অন্তত ৬০ জন ছাত্র।
হিংসা ছড়ানোর দায়ে কাফিল খানের বিরুদ্ধে এফআইআর
আলিগড়ে হিংসা ছড়ানোর দায়ে গোরক্ষপুরের চিকিৎসক কাফিল খানের বিরুদ্ধে এফআইআর করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। উক্ত এফআইআর-এ লেখা, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শনে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করেন কাফিল খান। পাশাপাশি নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করারও চেষ্টা করেছেন তিনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কাফিল খানের বিরুদ্ধে ১৫৩-এ ধারায় মামলায় রজু করা হয়েছে।
জামিয়া কাণ্ড
সদ্য পাশ হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গত রবিবার ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এই বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ে দিল্লি পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠি চার্জ করে। তার আগে সরাই জুলেইনা ও মথুরা রোডে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশের বক্তব্য চারটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
CAA:বাংলায় শুক্রবার যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে তৎপর প্রশাসন, কোন নির্দেশ নবান্নের!