ফুঁসছে সাগর, ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত, জারি হল লাল সতর্কতা
ফুঁসছে সাগর, ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত, জারি হল লাল সতর্কতা
বৃষ্টির বিরাম নেই। লাগাতার বৃষ্টি চলছে তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জেলায়। গতকালই আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে একাধিক জায়গায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের কারণেই তামিলনাড়ুতে বৃষ্টি চলছে। বৃষ্টির তীব্রতা আজ এবং আগামিকাল বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ইতিমধ্যেই বর্ষণে বিপর্যস্ত তামিলনাড়ু। তামিলনাড়ুর পাশাপাশি কেরলেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে সেখানেও একাধিক জায়গায় জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।
চেন্নাই সহ তামিলনাড়ুর ২০টি জেলায় চলছে বৃষ্টি। শনিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। রবিবার সারারাতের নাগাড়ে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত চেন্নাই। একাধিক জায়গায় জলজমে কার্যত জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। নীচু এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাসিন্দাদেরষ। একাধিক রাস্তায় নৌকা চলছে। এই নিয়ে পুর প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। পণ্ডিচেরী এবং কালিকটেও শুরু হয়ে গিয়েছে বর্ষণ। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৪৩৪ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। একাধিক জায়গায় মোবাইল পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ৫০ টি সেসুলার ফোন টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে।
চেন্নাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধারকাজে ৪৬ টি নৌকা ব্যবহার করা হচ্ছে। গোটা শহরে জল নামাতে কাজ করছে ৫০টি বেশি পাম্প। একাধিক রাস্তার নিকাশি পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রায় সব নর্দমা জলে ভরে গিয়েছে। যার জন্য জল বের হতে পারছে না। রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। ১৯৬টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে শুধুমাত্র চেন্নাইয়ে। ইতিমধ্যেই ৪০০টি এলাকা খালি করা হয়েছে। ১৬িটর মধ্যে ১৪টি সাবওয়ে পরিস্কার করে দেওয়া হয়েছে। চেন্নাইয়েপ একাধিক জায়গা থেকে আম্মা ক্যান্টিনের মাধ্যমে খাবার বিলি করা হচ্ছে। নীচু এলাকার বাসিন্দাদের খাবার বিলি করছে পুরসভা।
গতকালই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন বিভিন্ন নীচু এলাকা ঘুরে দেখেন। এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তামিলনাড়ুতে। এখনও পর্যন্ত ৫৩০টি কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৃষ্টিতে। ১৭০০ জন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। ২০১৫ সালের পর থেকে এই প্রথম বৃষ্টিতে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিত তৈরি হয়েছে তামিলনাড়ুতে। এই প্রবল বর্ষণ ২০১৫ সালের পর আর দেখা যায়নি। চেঙ্গালপট্টু, কাঞ্চিপুরম, তিরুভাল্লুর জেলা ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই চেন্নাইয়ে ২ দিনের স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারি দফতরের কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজ করার কথা বলা হয়েছে।