১৯৯৪ সালের রেকর্ড ভাঙল গরম, লাল সতর্কতা জারি রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশে
১৯৯৪ সালের রেকর্ড ভাঙল গরম, লাল সতর্কতা জারি রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশে
১৯৯৪ সালের মে মাসের গরমের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এই বছরের গরম। ১৯৯৪ সালের মে মাসে বুন্দেলখণ্ডের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়ােস। সেই সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে এই বার। মে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই বুন্দেলখণ্ডের তাপমাত্রা ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে। সেই তাপমাত্রা নাকি ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছতে পারে সতর্ক করেছে আইএমডি। আগামী কয়েকদিন রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রেকর্ড ভাঙা গরম
মার্চ মাস থেকেই গরমের রেকর্ড ধাপে ধাপে ভাঙতে শুরু করেছে। মার্চ মাস থেকেই মহারাষ্ট্র, গুজরাত এবং রাজস্থানের একাধিক জায়গায় তাপ প্রবাহ শুরু হয়ে গিয়েছিল। এপ্রিল মাসে পারদ হু হু করে তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করেছিল উত্তর পশ্চিম ভারতের একাধিক জায়গায়। এপ্রিল মাসেই ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল রাজধানী দিল্লি। সেই তাপমাত্রা মে মাসে কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। এক ধাক্কায় একেবারে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে তাপ মাত্রা। তাও আবার মে মাসের ১৫ তারিখের আগেই। উত্তর পশ্চিম ভারতের একাধিক জায়গায় চলছে তাপ প্রবাহ।
লাল সতর্কতা জারি
রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের একাধিক জায়গায় তাপপ্রবাহের লাল সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়ায়ে পৌঁছে গিয়েছে। ১৯৯৪ সালের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে এই তাপমাত্রা। ১৯৯৪ সালের ৩১ মে বুন্দেলখণ্ডে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। দহনে পুড়ছে রাজস্থানও। সেখানকার চুরু,পিলানির তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছে। শ্রী গঙ্গানগর, ঝাঁসি, নারানুল, খাজুরাহো, নওগঙ, হিসারের তাপমাত্রাও ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করে গিয়েছে। এদিকে আবার আগামী কয়েকদিনের জন্য পাঞ্জাব, হরিয়ানায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কখন তাপপ্রবাহ শুরু হয়
সাধারণ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে গেলেই তাপ প্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় সেখানে। স্বাভাবিক তাপমাত্রা চার থেকে সাড়ে চার ডিগ্রি বেশি পারদ চড়তেই তাপ প্রবাহ হয়। আর স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৬ থেকে সাড়ে ৬ ডিগ্রি বেশি পারদ চড়লে তাপ প্রবাহের কড়া সতর্কতা জারি করা হয়। আর তাপমাত্রা যদি ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়ায়ের উপরে পৌঁছে যায় তাহলে একাধিক দিন তাপপ্রবাহের সতর্কতা অর্থাৎ লাল সতর্কতা জারি করা হয়ে থাকে। রাজস্থান, বুন্দেলখণ্ডের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। সেকারণেই লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি
তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারির পাশাপাশি আইএমডির পক্ষ থেকে এই সব রাজ্যে স্বাস্থ্য সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। অধিকাংশ রাজ্যেই গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। যেসব রাজ্যে এখনও গরমের ছুটি পড়েনি সেখানে সকালে স্কুল করার কথা বলা হয়েছে এবং তাড়াতাড়ি স্কুল ছুটি দিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে হিটস্ট্রোক এবং সানস্ট্রোক থেকে বাঁচতে একাধিক স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশিকা দেওয়া হয়ছে। হালকা সুতির গাঢাকা পোশাক পরতে হবে। বেশি পরিমানে জলীয় পদার্থ এবং হালকা খাবার খেতে বলা হয়েছে।
Weather update: বৃষ্টির সঙ্গে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা