মার্চ ২০২০ সালের পরে দেশে সবথেকে বেশী করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠার হার! ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৭,৭৭৪ জন
গোটা দেশেই বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্ত। প্রত্যেকদিনই কার্যত বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মহারাষ্ট্রে। ইতিমধ্যে সে রাজ্যে একাধিক জায়গাতে কড়া বিধি নিষেধ লাঘু করা হয়েছে। আর এই আতঙ্কের মধ্যেই দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৭,৭৭৪ জন।

রবিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এই সংক্রান্ত বুলেটিন দেওয়া হয়েছে। সেখানে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গিত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ৮ হাজার মানুষ নতুন করে করোনা সংক্রমিত হওয়াতে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৩, ৪৬,৬৯০,৫১০ জন।
এই মুহূর্তে ভারতে রিকোভারি রেট ৯৮.৩৬ শতাংশ। যা কিনা মার্চ ২০২০ সালের পর থেকে সবথেকে বেশী। যা দেখে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। তাহলে কি এবার বুক ভরে নিঃশ্বাস নেবেন দেশের মানুষ? যদিও এই বিষয়ে আরও একটি সময় লাগবে বলেই মনে করছে চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে দেশে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ারও কাজ চলছে। বুলেটিনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৩২,৯৩ কোটি করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩০৬ জনের। অন্যদিকে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩। এই তালিকাতে একজন তিন বছরের শিশুও রয়েছে।
তবে ওমিক্রন আক্রান্ত সবারই উপসর্গ মৃদু। চিন্তার কিছু বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে এখন থেকে সাবধান হওয়ার কথা বলছেন মন্ত্রকের আধিকারিকরা। আর সেই মর্মেই ইতিমধ্যে একাধিক রাজ্যকে সতর্ক করে চিঠিও দিয়েছে মোদী সরকার।
কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে জানানে হয়েছে, তাদের বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে আটটি জেলার প্রতি। কারণ ওই আটটি জেলায় ১০ শতাংশেরও বেশি করোনা সংক্রমণের হার রয়েছে। কেন্দ্র সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নতুন আক্রান্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলাভিত্তিক ব্যবস্থা-সহ পরিস্থিতির উপর কঠোর নজরদারি চালাতে বলেছে।
রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে একটি চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, কেরালা, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ, পুদুচেরি, মণিপুর, পশ্চিমবঙ্গ এবং নাগাল্যান্ডের ১৯টি জেলায় পাঁচ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে সংক্রমণের হার রিপোর্ট করেছে বিগত দুই সপ্তাহ।
গত দুই সপ্তাহে মিজোরাম, কেরালা এবং সিকিমের আটটি জেলায় করোনার সংক্রমের হার ১০ শতাংশের বেশি। ফলে এই বিষয়ে সাবধান হওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবে দেশের বহু মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে না। আর এর কারনে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে সতর্কবার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের।
