করোনা রাহুর গ্রাসে ভারত, দেশে একদিনে রেকর্ড মৃত্যু ৩,৬৮৯ জনের
দেশে একদিনে রেকর্ড মৃত্যু ৩,৬৮৯ জনের
দেশে করোনা ভাইরাসের মারণ থাবা প্রতিদিনই আরও ভয়ানক হয়ে উঠছে। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৩,৬৮৯ জনের এবং মোট মৃতের সংখ্যা ২,১৫,৫৪২টি। দেশে ৩,৯২,৪৮৮ জন নিশ্চিত পজিটিভ কেস নিয়ে মোট সংক্রমণের সংখ্যা অতিক্রম করেছে ১,৯৫,৫৭,৪৫৭।
রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে সক্রিয় করোনা কেস অতিক্রম করেছে ৩৩ লক্ষ। করোনা কেস বৃদ্ধি পাওয়ার ধারা অব্যাহত রেখে, সক্রিয় করোনা কেস বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৩,৪৯,৬৪৪, যা ভারতের মোট সংক্রমণের ১৭.১৩ শতাংশ। অন্যদিকে জাতীয় কোভিড–১৯–এ সুস্থতার হার নেমে গিয়েছে ৮১.৭৭ শতাংশ। এই রোগ থেকে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১,৫৯,৯২,২৭১, বিপরীত দিকে মৃত্যুর হার ফের ১.১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
ভারতের কোভিড–১৯ সংক্রমণের সংখ্যা গত বছরের ৭ অগাস্ট ২০ লক্ষ পেরিয়ে যায়, তিনদিনের মধ্যে ২৩ অগাস্ট ৩০ লক্ষ অতিক্রম করে, ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা ৪০ লক্ষে পৌঁছায় এবং ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৫০ লক্ষ ছুঁয়ে নেয়। এরপর ৬০ লক্ষের শিখরে পৌঁছায় ২৮ সেপ্টেম্বর, ১১ অক্টোবর তা লাফিয়ে চল এযায় ৭০ লক্ষে, ২৯ অক্টোবরে তা ৮০ লক্ষ, ৯০ লক্ষে পৌঁছায় ২০ নভেম্বর এবং ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যেই এক কোটিতে পৌঁছে যায় সংক্রমণ। ভারত এ বছরের ১৯ এপ্রিল দেড় কোটির মাইলস্টোন অতিক্রম করে। আইসিএমআরের মতে, ১ মে পর্যন্ত ২৯,০১, ৪২,৩৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে শনিবারই ১৮,০৪,৯৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
ভ্যাকসিন দিতে দেরি, মেজাজ হারিয়ে অভিযোগকারীর দিকে তেড়ে গেলেন যোগী রাজ্যের মন্ত্রী
৩,৬৮৯ নতুন মৃত্যুর মধ্যে মহারাষ্ট্র থেকেই মারা গিয়েছেন ৮০২ জন, ৪১২ জন দিল্লি থেকে, ৩০৪ জন উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক থেকে ২৭১ জন, ছত্তিশগড় থেকে ২২৯, ১৭২ জন মারা গিয়েছে গুজরাত থেকে, ১৬৯ জন ঝাড়খণ্ড, ১৬০ জন রাজস্থান, ১৪৭ জন তামিলনাড়ু, ১৩৮ জন পাঞ্জাব, ১২৫ জন হরিয়ানা, ১০৭ জন উত্তরাকণ্ড, ১০৩ জন পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশ থেকে ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২,১৫,৫৪২ জন মারা গিয়েছে দেশে। এর মধ্যে আবার মহারাষ্ট্রে ৬৯,৬১৫, দিল্লিতে ১৬,৫৫৯, কর্নাটক থেকে ১৫,৭৯৪ জন, তামিলনাড়ু থেকে ১৪,১৯৩, উত্তরপ্রদেশ থেকে ১২,৮৭৪, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১১,৪৪৭ জন, পাঞ্জাব থেকে ৯,১৬০ ও ছত্তিশগড় থেকে ৮,৮১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছেন অধিকাংশ মৃত্যুই হয়েছে কোমর্বিডিটির জন্য।