সাগরে ফুঁসতে শুরু করেছে ‘গাজা’, একনজরে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত ভারতের চিত্র
প্রকৃতির খেয়ালকে এখনও করায়ত্ত করতে পারেনি মানুষ। প্রকৃতি ফুঁসলে, রক্ষা নেই। তাই বারবারই ঘূর্ণিঝড় থেকে সাইক্লোন, কিংবা বন্যা থেকে ভূমিকম্প হলেই থরহরিকম্প মানুষের।
প্রকৃতির খেয়ালকে এখনও করায়ত্ত করতে পারেনি মানুষ। প্রকৃতি ফুঁসলে, রক্ষা নেই। তাই বারবারই ঘূর্ণিঝড় থেকে সাইক্লোন, কিংবা বন্যা থেকে ভূমিকম্প হলেই থরহরিকম্প মানুষের। সে যেখানেই হোক, এপার বাংলা বা ওপার বাংলা, এ দেশ বা বিদেশ, যেখানেই হানা দেবে প্রকৃতির রোষ, সেখানেই লন্ডভন্ড, ছারখার। এবারও তাই ঘূর্ণিঝড় 'গাজা' আছড়ে পড়ার খবরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশের উপকূলবর্তী এলাকায়।
‘তিতলি’র পর ‘গাজা’
এর আগেই ‘তিতলি' হানা দিয়েছিল দেশের বুকে। ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে পুজোর মুখেই আছড়ে পড়ে ‘তিতলি'। তার প্রভাবে ওড়িশায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পুজোর বাংলাতেও তার প্রভাব পড়ে। শুধু ‘তিতলি'ই নয়, আরও অনেক ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এ বছর মোকাবিলা করেছে ভারত। গাছা হানার মুখে সেই সমস্ত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা একনজরে।
অসমে বন্যা
বর্ষার মুখেই এবার প্রবল বন্যায় ভেসে গিয়েছিল অসম। অসমের হোজাই, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি ও কাচার-সহ বেশ কয়েকটি জেলা পড়েছিল ক্ষতির মুখে। মৃত্যু হয়েছিল তিন শতাধিক মানুষের। ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ।
কেরলে বন্যা
ভারতের বুকে শতাব্দীর ভয়াবহতম বন্যা হয়েছে এবারই। এ বছর ১৪ জুলাই কেরলের বন্যাকে শতাব্দীর ভয়াবহতম বন্যা রূপে বিশ্লেষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কেরলের বিস্তীর্ণ অংশ বন্যাবিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। ১৪টি জেলা চলে যায় জলের তলায়। পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয় এই বন্যায়। ২৭৮টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়।
উত্তরপ্রদেশে দুর্যোগ
২ আগস্ট উত্তরপ্রদেশে প্রবল বৃষ্টি হয়। মুষলধারে বৃষ্টি ও সেইসঙ্গে বজ্রপাতের প্রাদুর্ভাবে ১০৯ জনের মৃত্যু হয় উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ১৭টি গ্রামে ক্ষতির শিকার হন প্রায় ৩২ হাজার মানুষ। ৩২টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেন ১২ হাজারেরও বেশি দুর্গত।
কর্ণাটকে বন্যা
এবার বন্যা হয় কর্ণাটকেও। অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে কর্ণাটক। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কর্ণাটকের কোডাগু জেলা। অন্যান্য জেলাতেও এই বন্যার প্রভাব পড়ে।
নাগাল্যান্ডে বন্যা
নাগাল্যান্ড বন্যা-বিধ্বস্ত ঘোষণা করা হয় ৩ সেপ্টেম্বর। প্রায় হাজার তিনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন। বহু মানুষকে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়ে হয়। এই বন্যা পরিস্থিতির জেরে ভূমিধ্বস শুরু হয়েছিল দুমাস আগে থেকেই। পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেওয়ার পরই বন্যা-বিধ্বস্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয় এই রাজ্যকে।
‘তিতলি’র হানা
‘তিতলি'র হানা ১১ অক্টোবর। ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি' আছড়ে পড়ায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়। প্রায় ন-হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ৩৫৬টি গ্রামে। পুজোর বাংলাতেও প্রভাব ফেলে এই ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি'।
[আরও পড়ুন:অতি সত্রিয় ঘূর্ণিঝড় গাজা! হঠাৎই দিক ও বেগ পরিবর্তন]