কর্নাটকের বিদ্রোহী বিধায়কদের আস্থাভোট দিতে বাধ্য করা যাবে না, রায় শীর্ষ আদালতের
আরও সংকট বাড়ল কুমারস্বামীর। বুধবার বিদ্রোহী বিধায়কদের আবেদনের শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, পদত্যাগী বিদ্রোহী বিধায়কদের জোর করে আস্থাভোটে সামিল করা যাবে না।
আরও সংকট বাড়ল কুমারস্বামীর। বুধবার বিদ্রোহী বিধায়কদের আবেদনের শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, পদত্যাগী বিদ্রোহী বিধায়কদের জোর করে আস্থাভোটে সামিল করা যাবে না। শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্তে আরও চাপ বাড়ল কর্নাটকের জোট সরকারের।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় আস্থাভোট হওয়ার কথা। তার আগে শীর্ষ আদালতের এই রায় বিপাকে ফেলেছে কুমারস্বামী সরকারকে। ১৬ জন বিদ়্রোহী বিধায়কের পদত্যাগ নিয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা আজই।
এই পরিস্থিতিতে যেকোনও মুহূর্তে পড়ে যেতে পারে জোট সরকার। বিজেপি নেতা এবং কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া আগেই দাবি করেছিলেন জোট সরকার আস্থা ভোটে জিততে পারবে না। তাই কুমারস্বামীর পদত্যাগ দাবি করেছিল বিজেপি।
কিন্তু কুমারস্বামী সেকথায় কর্নপাত করেননি। তিনি আস্থা ভোটে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমান করবেন বলে জানিেয়ছিলেন। দীর্ঘ টানবাহানার পর শেষে বৃহস্পতিবার আস্থাভোট হওয়ার কথা কর্নাটক বিধানসভায়। ইতিমধ্যেই পদত্যাগী বিধায়করা শীর্ষ আদালতে নালিশ ঠোকেন। আদালতে তাঁরা অভিযোগ জানান, বিধানসভার স্পিকার আর কে রমেশ কুমার তাদের পদত্যাগ পত্র সিদ্ধান্ত নিতে অকারণে দেরি করছেন। এবং জোর করে তাঁদের বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য করা হচ্ছে।
গতকালই শীর্ষ আদালত স্পিকারকে জানিয়েছিলেন অবিলম্বে বিদ্রোহী বিধায়কদের পদত্যাগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। বুধবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের এজলাসে বিদ্রোহী বিধায়কদের আবেদনের শুনানি হয়। তাতে প্রধান বিচারপতি জানান, কোনওভাবেই আস্থাভোটে বিদ্রোহী বিধায়কদের জোর করে সামিল করানো যাবে না।
এই পরিস্থিতিতে স্পিকার যদি বিদ্রোহী বিধায়কদের পদত্যাগ পত্র গ্রহন করেন তাহলে জোট সরকারের ১১৮ জন বিধায়কের সংখ্যা ১০০-তে নেমে আসবে। সংখ্যা গরিষ্ঠতার সংখ্যা ১১৩ আর থাকবে না। এদিকে বিজেপির একারই ১০৫ জন বিধায়ক রয়েছে। দুই নির্দল বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সেই সংখ্যা ১০৭-এ পৌঁছে যাবে। সহজেই সরকার গড়ার দাবি জানাবে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: কর্নাটক নিয়ে নতুন নির্দেশিকা! ১৫ বিধায়কের ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের]