সামনে কঠিন পরীক্ষা, ফাইনালের আগে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বে জেরবার রাহুল গান্ধী
চার রাজ্য এবং একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে নির্বাচন আসন্ন। একদিকে যখন বিজেপি এই রাজ্যগুলিতে ক্ষমতা কায়েমের চেষ্টা করছে। তখন রাহুল গান্ধী এই রাজ্যগুলিতে কংগ্রেসকে জিতিয়ে নিজের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণের চেষ্টা করছে। একদিকে যখন কংগ্রেসের 'বিদ্রোহী' নেতারা ক্রমেই সুর চড়াচ্ছে। সেখানে রাহুল গান্ধী নিজের কর্তৃত্ব প্রমাণের জন্যে পরীক্ষায় নেমেছেন।
অস্বস্তি থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন রাহুল
কংগ্রেসের ২৩ বর্ষীয়ান নেতা যেভাবে বিদ্রোহ ঘোষণা করে নিজেদের বক্তব্যে অনড়, তাতে দলের মধ্যে ফাটল আরও চওড়া হচ্ছে ক্রমশ। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং গুলাম নবি আজাদ একে অপরের প্রশংসা করায় আরও অস্বস্তি বেড়েছে শতাব্দী প্রাচীন এই দলের। আর সেই অস্বস্তি থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন রাহুল।
মিশে যাওয়ার চেষ্টা
কয়েকদিন আগেই তামিলনাড়ুর মুলাগুমুদাবন-এ সেন্ট জোশেফ ম্যাট্রিকুলেশন হাই সেকেন্ডারি স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে যান রাহুল গান্ধী। সেখানে ছাত্র ছাত্রীদের গাওয়া গানে পা মেলান কংগ্রেস এই নেতা। কখনও হাতে হাত ধরে, আবার কখনও আকাশে হাত তুলে নৃত্যের তালে মাতেন তিনি। এরপর এক ছাত্রের সঙ্গে আইকিডো করতে দেখা যায় তাঁকে। সকলের অনুরোধে স্টেজের উপর এক ছাত্রীর সঙ্গে পুশ আপও করেন। তারপর নিজেই এক হাতে পুশ আপ করেন রাহুল। ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশে নিজের ফিট থাকার রহস্য বলেন তিনি। তিনি প্রতিদিন কী খান কিংবা কীভাবে তিনি নিজেকে ফিট রেখেছেন সেই বিষয়েও বলেন তিনি। এসবের মধ্যমে তাদের সঙ্গে মিশে যেতে চেয়েছেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু নিজের দলের সঙ্গেই মিশতে পারছেন না কংগ্রেস নেতা।
'দলের লোকেদের কাছেই আমায় আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে'
এই আবহে একদিন আগেই রাহুল গান্ধী বলেন, 'দলের লোকেদের কাছেই আমায় আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে।' উল্লেখ্য, কংগ্রেসের ২৩ জন বিক্ষুব্ধ নেতা দলের সাংগঠনিক ইস্যু নিয়ে সরব। এই প্রেক্ষিতে রাহুলের মন্তব্য উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন
একদিন আগে একটি ওয়েবিনারে রাহুল গান্ধী অকপটে স্বীকার করেন, 'কংগ্রেসের যুব, ছাত্র সংগঠনের নির্বাচন চালুর ব্যাপারে জোর দিয়েছি। আমাদের দলের লোকেদের কাছেই আক্রমণের মুখে পড়েছি। মজার বিষয়, অন্য কোনও দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না। কেউ প্রশ্ন করেন না, কেন বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি, বিএসপি-তে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নেই।'