গঠনের আগেই জোট নিয়ে শঙ্কা! মায়াবতীর বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন
উপযুক্ত সম্মান পেলে ২০১৯-এর নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী জোটে যেতে তিনি প্রস্তুত। উপযুক্ত সম্মান বলতে, নির্বাচন পূর্ববর্তী আলোচনায় সম্মানজনক আসনের কথা বোঝাতে চেয়েছেন বিএসপি সুপ্রিমো।
উপযুক্ত সম্মান পেলে ২০১৯-এর নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী জোটে যেতে তিনি প্রস্তুত। উপযুক্ত সম্মান বলতে, নির্বাচন পূর্ববর্তী আলোচনায় সম্মানজনক আসনের কথা বোঝাতে চেয়েছেন বিএসপি সুপ্রিমো। অন্যথায় নিজের শক্তিতে তিনি একাই লড়বেন বলে হুমকি দিয়ে রাখলেন মায়াবতী।
দলের সহ-সভাপতির পদ থেকে নিজের ভাই আনন্দ কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মায়াবতী। দলে যে পরিবারতন্ত্র নেই, সেই বার্তাই মায়াবতী দিতে চাইলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বছর খানেক আগে আনন্দ কুমারকে দলের সহ সভাপতির পদে বসানোর পর থেকেএকাধিক নেতা দল ছাড়েন। তাদের মধ্যে রয়েছেন, নাসিমুদ্দিন সিদ্দিকি, স্বামী প্রসাদ মৌর্য, ইন্দ্রজিৎ সরোজ, যুগল কিশোর। দলে যাতে এনিয়ে কোনও বিবাদ তৈরি না হয়, তার জন্য নির্দেশিকাও জারি করেছেন মায়াবতী। একইসঙ্গে দলের সর্বোচ্চ পদ নিয়ে যাতে কোনও রকমের বিবাদ তৈরি না হয়, তার জন্য বলেছেন, ২০ থেকে ২২ বছর তিনি রাজনীতিতে থাকতে চান। পদের জন্য লড়াই না করে, দলকে শক্তিশালী করার ডাক দিয়েছেন তিনি।
দলিতদে দিকে তাকিয়ে দুই দলিত নেতা বীর সিং ও জয় প্রকাশ সিংকে দলের জাতীয় সমন্বয়কারী হিসেবে নিয়োগ করেছেন।
লখনৌতে দলের বৈঠকে সারা দেশ থেকে আসা দলের পদাধিকারীরা হাজির ছিলেন। সেখানে অবিজেপি জোটের প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থী হিসেবে মায়াবতীর নাম রাখার দাবি ওঠে।
দলের নেতাদের সামনে ভাষণে মায়াবতী বলেন, শুধু উত্তরের রাজ্যগুলিতেই নয়, এবার বিএসপি দক্ষিণ ও পশ্চিমের রাজ্যগুলিতেও প্রার্থী দেবে। একইসঙ্গে তিনি জানান, উপযুক্ত সম্মান পেলে ২০১৯-এর নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী জোটে যেতে তিনি প্রস্তুত।
মায়াবতীর এই বক্তব্যে পরে বিরোধীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি বেঙ্গালুরুতে কুমারস্বামীর শপথ গ্রহণের মঞ্চের ছবিটা কি শুধুই ছবি থেকে যাবে। মায়াবতীর মন্তব্যে জোট ভবিষ্যত নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর শেষ পর্যন্ত জোট নিয়ে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের কটাক্ষ মিলে যা কিনা এখন সেটাই দেখার।