২জি স্পেকট্রাম রায় শুনে লিখিত বিবৃতিতে কী বললেন করুণানিধি, বাকীদের প্রতিক্রিয়া কী
ম কানিমোঝি ও ডিএমকে দলের প্রাক্তন সাংসদ ডি রাজা সহ সমস্ত অভিযুক্তকে এদিন ২জি স্পেকট্রাম মামলায় বেকসুর খালাস করেছে আদালত।
তাঁর কন্যা এম কানিমোঝি ও ডিএমকে দলের প্রাক্তন সাংসদ ডি রাজা সহ সমস্ত অভিযুক্তকে এদিন ২জি স্পেকট্রাম মামলায় বেকসুর খালাস করেছে আদালত। মেয়ে ও দলের সাংসদ বেকসুর খালাস পাওয়ায় নিজের উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি ডিএমকে প্রধান এম করুণানিধি। রায় বেরোনোর পরে কানিমোঝি বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছিল না। ন্যায় বিচার হয়েছে। এই রায়ের পর বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া এসেছে।
এম করুণানিধি
নিজে কথা বলতে পারেন না। তা সত্ত্বেও হাতে লিখে নিজের বিবৃতি সকলকে জানিয়েছেন তিনি। করুণানিধি দুই লাইনে লিখেছেন, "অবিচার পরাস্ত হবে, ভালো কাজের জয় হবে"। শারীরিক অসুস্থতার জন্য বেশ কিছু বছর হল রাজনীতি থেকে সরে যেতে হয়েছে নবতিপর এই রাজনেতাকে। তবে মনে মনে রাজনীতিতে এখনও সক্রিয়। ভোটে দাঁড়িয়ে জিতেওছেন এই বয়সে এসে।
এম কে স্তালিন
দলের তরফে ডিএমকের কার্যকরী সভাপতি স্তালিন এই ঘটনায় জানিয়েছেন, রায়ে প্রমাণ হয়েছে যে কোনও গোলমাল করা হয়নি। আমরা খুশি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ ছিল।
[আরও পড়ুন:২জি স্পেকট্রাম মামলায় বেকসুর খালাস ডি রাজা, কানিমোঝি সহ অভিযুক্তরা]
পি চিদাম্বরম
কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম জানিয়েছেন যে, বরাবর যে অভিযোগ ছিল দুর্নীতিতে একেবারে সর্বোচ্চ পদে বসা ব্যক্তিরা যুক্ত। এটা একেবারেই সঠিক নয়। এদিনের রায়ে সেটা প্রমাণিত হল।
সুব্রহ্মণ্যম স্বামী
বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ২জি রায়ের পরে টুইট করে বলেছেন, সরকারের উচিত উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা। যে সময়ে এই মামলা হয় তখন জনতা পার্টির সভাপতি ছিলেন স্বামী। তাঁর পৌরহিত্যেই এই মামলা এত বড় আকার নেয়। তিনি পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধেও আবেদন করেছিলেন। তবে সেটা সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে।
অরুণ জেটলি
২জি দুর্নীতি মামলার রায়কে জয় হিসাবে দেখছে কংগ্রেস। অরুণ জেটলির কথায়, নীতিকে সততা ছিল না। ২০১২ সালেই তা আটকে দিয়ে প্রমাণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ২জি স্পেকট্রাম বণ্টনের সমস্ত নীতি বাতিল করেছে আদালত। এতে সরকারের ক্ষতি হয়েছে। কংগ্রেসের এটা নিয়ে গর্ব করা উচিত নয়।
মনমোহন সিং
আদালতের রায়কে সম্মান করা উচিত। আমি খুশি আদালতে এদিন প্রমাণিত হয়েছে যে ভয়ঙ্কর নেতিবাচক প্রচার ইউপিএ সরকারে বিরুদ্ধে চালানো হয়েছিল তার কোনও ভিত্তি ছিল না।