মে মাসেই আত্মবিশ্বাস হারিয়েছেন সর্বাধিক গ্রাহক, বলছে আরবিআই-র সমীক্ষা
মে মাসেই আত্মবিশ্বাস হারিয়েছেন সর্বাধিক গ্রাহক, বলছে আরবিআই-র সমীক্ষা
পাঁচ দফার লকডাউনে বেহাল অবস্থা ভারতীয় অর্থনীতির। বর্তমানে লকডাউন খানিক শিথিল হয়ে বাজার-ঘাট খুলতে শুরু করলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কতদিন সময় লাগবে তা সহজে কেউ বলতে পারছেন না। তার সঙ্গে প্লাল দিয়ে সংক্রমণের নিরিখে নিত্যনতুন রেকর্ড করছে প্রাণঘাতী করোনা। কিন্তু এই সঙ্কটকালীন মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের গ্রাহকদের আত্মবিশ্বাস কতটা বজায় রয়েছে ?
আর্থিক সঙ্কটেই আস্থা হারাচ্ছেন গ্রাহকেরা
এদিকে সরকার ধীরে ধীরে জনজীবন স্বাভাবিক করা ডাক দিলেও মানুষের মধ্যে কাজ করছে করোনা ভয়। আর এর মধ্যে দেশের বাজার অর্থনীতির উপর আরবিআই-র একটি সমীক্ষায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে যে করোনা মহামারীর মধ্যে কোনও জিনিস কেনা ও লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহকের আত্মবিশ্বাস ঐতিহাসিক ভাবে অনেকটাই নীচে নেমে গেছে।
কী বলছে গ্রাহক আত্মবিশ্বাস জরিপের রিপোর্ট
‘গ্রাহক আত্মবিশ্বাস জরিপ' নামে আরবিআই-র ওই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে সবথেকে বেশি মানুষ আস্থা হারিয়েছেন মে মাসেই। দেশের এই অর্থনৈতিক সঙ্কটের ঘনকালো মেঘ ও জনজীবনের বিপর্যয় সম্পর্কে সবাইকেই হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়। পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতি সূচকেও (সিএসআই) রেকর্ড পারাপতন লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি ভোক্তাদের আস্থা হ্রাস পেতে দেখা গেছে ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা সূচকেও (এফআইআই)।
কী কী কারণে আস্থা হারাচ্ছেন মানুষ ?
পাশাপাশি ‘কনজিউমার কনফিডেন্স সার্ভে' বা সিসিএস-র সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্য অনুসারে, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কট, কর্মসংস্থান ও গৃহস্থলীর আয় হ্রাস পাওয়াতেই তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে গ্রাহকদের মনোবলের উপর। যার জেরে লক্ষ লক্ষ গ্রাহক বর্তমানে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলছেন নতুন কিছুর জন্য। অন্যদিকে সামনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি এবং সামনের বছরের জন্য কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি সম্পর্কে মানুষদের মধ্যে প্রত্যাশা অনেকটাই কমে গেছে বলে জানা যাচ্ছে।
সমীক্ষার জন্য বেছে নেওয়া ১৩ টি শহরকে
মে মাসে টেলিফোনে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমেই এই সমীক্ষাটি চালানো হয় বলে জানা যাচ্ছে। এর জন্য বেছে নেওয়া হয় ভারতের তেরটি বড় শহরে মানুষদের। তালিকায় ছিল আহমেদাবাদে বেঙ্গালুরু, ভোপাল, চেন্নাই, দিল্লি, গুয়াহাটি, হায়দ্রাবাদ, জয়পুর, কলকাতা, লক্ষ্ণৌ, মুম্বই, পাটনা, তিরুবনন্তপুরমের মানুষেরা এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। মহামারীর এই সঙ্কটকালীন মুহূর্তে তারা তাদের আর্থিক সঙ্কট ও আগামী জীবনধারণের পরিকল্পনা নিয়ে মতামতও ব্যক্ত করেন।
মূর্তি, ধর্মগ্রন্থে দেওয়া যাবে না হাত! ধর্মীয়স্থানের ক্ষেত্রে একের পর এক নির্দেশিকা কেন্দ্রের